ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে খুলনায় বিএনপির স্মারকলিপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৮
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে খুলনায় বিএনপির স্মারকলিপি খুলনায় বিএনপির স্মারকলিপি প্রদান। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুলনায় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুজিবর রহমানের হাতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ইতোপূর্বে জাতীয় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলেও দলীয় সরকারের অধীনে ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সিংহভাগ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। সে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়া ও ৯৫ শতাংশ ভোটারের অনুপস্থিতি এবং অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী না থাকায় ভোট ডাকাতি এবং প্রার্থী শূন্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত এই নির্বাচন দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছে। গণতন্ত্র সংকটে পড়েছে। দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলসমূহ চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ দাবিকে সামনে রেখে প্রয়োজনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও ৭ দফা ঘোষণা এবং জাতীয় সংলাপ অর্থবহ না হওযার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। গত ৭ মাস আগে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশনের ভোট ডাকাতি নির্বাচনের ক্ষত এখনও শুকায়নি। ভোট ডাকাতির সেই নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হয়েছে। সীমাহীন নৈরাজ্য, বলপ্রয়োগ, আইন অমান্য, প্রশাসন যন্ত্রের অসৎ ব্যবহার ও সর্বশেষ ভোটের আগের রাত থেকেই ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারা। নির্বাচনের আগের দিন খুলনা বিভাগে বিভিন্ন জেলা থেকে সরকার দলীয় উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে হাজার হাজার ভোট ডাকাতদের খুলনার হোটেল রেস্তোরাঁয় ও কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান এবং সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রের ফটকে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের উপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়া গণসিল মারার ঘটনা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে।

একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশের জন্য বিএনপি স্মারকলিপিতে কিছু সুপারিশ উল্লেখ করেছে। তা হলো- সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে কারাগারে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড সবার সমান সুযোগ দিতে হবে। বিগত মেয়র নির্বাচনে ভোট ডাকাতিতে সহায়তাকারীদের নির্বাচনের বাইরে রেখে মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের রদবদল। দল নিরপেক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ, খুলনা মহানগরের বাইরে বিশেষ করে দাকোপ, বটিয়াঘাটার কোনো কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়া। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনারের অধীনে রাখা। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও টহলের ব্যবস্থা করা এবং সন্ত্রাসী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা। খুলনার ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার না করা। নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কালো টাকা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত না করতে পারে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, ফকরুল আলম, শেখ আমজাদ হোসেন, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাইফুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, অধ্যাপক শফিকুল আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।