ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

একঘণ্টাও নির্বাচন পেছানো যাবে না: আ’লীগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
একঘণ্টাও নির্বাচন পেছানো যাবে না: আ’লীগ নির্বাচন না পেছানোর বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন এইচটি ইমামসহ অন্যরা

ঢাকা: আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম বলেছেন, এ পর্যন্ত তিন নির্বাচনের তারিখ পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আমাদের পরিষ্কার দাবি হচ্ছে, নির্বাচন আর পেছানো যাবে না। একঘণ্টার জন্যও নয়, একদিনের জন্যও নয়।

নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে এসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি জানিয়ে যাওয়ার পরপরই বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে এসে আওয়ামী লীগ এমন দাবি জানিয়েছে।

এইচটি ইমাম বলেন, ‘যারা নির্বাচন পেছানোর দাবি করছেন, তাদের এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না? কেননা, তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করছেন কি-না।

নির্বাচন না পেছানোর যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর এ রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখানে সরকারের পক্ষ থেকে আসিনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি। জানুয়ারিতে নতুন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। তখন কয়েক লাখ নতুন ভোটার হবে। কিন্তু সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তারা ভোট দিতে পারবেন না। আর নতুন ভোটাররা মামলা করে দিলে নির্বাচন ভণ্ডুল হতে পারে। এই দায়িত্ব কে নেবে? এরপর নতুন বছরে ছাত্রদের নতুন বই দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সেটিও বিলম্বিত হতে পারে। এছাড়া জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা রয়েছে। একটি বিশাল আয়োজন। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা, থাকার ব্যবস্থা করার বিষয় আছে। এ সময় নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

স্বল্প সময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণায় বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসতে অসুবিধা হবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য তুলে ধরে এইচটি ইমাম বলেন, আমার হাসি পাচ্ছে-কোনো দেশ কি বিদেশিদের জন্য নির্বাচন পেছায়? আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আমাদের নিজেদের। সেখানে কে পর্যবেক্ষণ করতে আসলো আর কে আসলো না তা বিষয় নয়।

তিনি বলেন, বিদেশিরা নিশ্চই পর্যবেক্ষণে আসবেন। তারা ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন প্রচুর সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক এসেছিলেন। তখন কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

ঐক্যফ্রন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, বুধবারও তারা নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু নয়াপল্টনে যা ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। তারা একদিকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশের কথা বলবে, অন্যদিকে আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, সেটি হতে পারে না। তাদের কর্মকাণ্ডে ১৪ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে।

এইচটি ইমাম বলেন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ১১, ১৭ ও ১৮ বিধি ভঙ্গ হয়েছে। বিধিমালায় যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ন্যূনতম শাস্তি ৬ মাসের কারাদণ্ড। আমার এই ঘটনাকে নির্বাচনী অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচনের কাছে দাবি জানিয়েছি।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একটি আনন্দমুখর পরিবেশ সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে। সবাই ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব। এটিই হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এই পরিবেশ বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই সবার জন্যই নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভবনে প্রার্থীরা দলীয় প্রধানে দোয়া নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা হয়নি।

এইচ টি ইমামের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ