ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অন্যান্য দল

'শর্ট টার্ম' আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
'শর্ট টার্ম' আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট! জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

ঢাকা: ইসির তফসিল অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। সে অনুযায়ী আগামী সাতি দিনের মধ্যেই নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে। তাই দাবি আদায়ে এক সপ্তাহের 'শর্ট টার্ম' আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট।

আন্দোলনের রূপরেখা বা কৌশলও তৈরি করেছেন নেতারা। যদি এই 'শর্ট টার্ম' আন্দোলনে দাবি আদায় করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রেও নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তবে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ট্রেনে ঐক্যফ্রন্ট উঠবে কিনা, সেটা আগামী দু'একদিনের মধ্যেই অনেকটা পরিষ্কার হওয়া যাবে। তবে নির্বাচনের প্রস্তুতি ও দাবি আদায়ে আন্দোলন, দু’টি একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বিএনপির অধিকাংশ নেতা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরিক দলের নেতারাও তাতে সায় দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, জনগণকে সম্পৃক্ত করে অহিংস আন্দোলনেই সাত দফা দাবি আদায় করে নিয়ে চায় এই রাজনৈতিক জোট। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা, ঢাকা অবরোধ ও গণভবন অভিমুখে পদযাত্রার মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

তবে সাত দফা দাবির আংশিক পূরণ হলেও নির্বাচনে যেতে চায় ঐক্যফ্রন্ট। সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নিরপক্ষ সরকারের দাবি পূরণ হলেই অনেকটা ছাড় দিতে রাজি এই জোট। যদি দাবি আংশিক পূরণ হয়, তাহলে পরিকল্পনা, ইশতেহার ও দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। এক্ষেত্রে ফ্রন্টের নেতাদের অভিমত অনুযায়ী নির্বাচনী কৌশল ঠিক করবে দলটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি  ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। সব বাধা উপক্ষো করেই নির্বাচনে যাবে দলটি। একই সঙ্গে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ অন্য সব দাবি আদায়ে আন্দোলনও চালিয়ে যাবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বাংলানিউজকে বলেন, 'আমরা সবাই রাজশাহীতে আছি, ঢাকায় ফিরেই শনিবার (১০ নভেম্বর) সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবো, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কী অবস্থান হবে। তখনই সেটা আপনারা জানতে পারবেন।

সূত্র জানায়, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সময়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম কার সইয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবে, এরও একটি পন্থা বের করা হচ্ছে।

শনিবার (১০ নভেম্বর) বৈঠকে এ বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানা যায়। শনিবার বা রোববার (১১ নভেম্বর) রাতে বা সন্ধ্যায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে সংবাদ সম্মেলন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি খোলাসা করবে বিএনপি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৮
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad