ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

উত্তরবঙ্গের সর্বনাশা মঙ্গা দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৮
উত্তরবঙ্গের সর্বনাশা মঙ্গা দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিচ্ছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ছবি বাংলানিউজ

নীলফামারী: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরবঙ্গের সর্বনাশা মঙ্গা দূর করেছেন। নীলফামারী জেলায় যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়ার মতো আর কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেই।  

নীলফামারীবাসীকে তিনি উত্তরা ইপিজেড, নার্সিং ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টিটিসিআই, একশ’ শয্যার হাসপাতালকে আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীতকরণ, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, আন্তর্জাতিক মানের শেখ কামাল স্টেডিয়াম, পুল-কালভার্টের আমূল পরিবর্তন ও সর্বশেষ মেডিকেল কলেজ উপহার দিয়েছেন, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহাসড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নূর বলেন, একধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে জেলায়। আর কী চাই? চাওয়ার মতো আর কিছুই নেই। এটি হলো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনুর আলম জানান, সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক (আর-৫৭০) প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণ প্রকল্পের আওতায় সৈয়দপুর-নীলফামারী আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও মজবুত করার জন্য মোট ৫৪ দশমিক ৬,১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম পর্যায়ের ১৫ দশমিক ৭,৭৬৫ একর জমির ১৬ জন মালিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন কোটি ১৫ লাখ ৫ হাজার ৬৮৪ টাকা ৭৩ পয়সা দেওয়া হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায়ে অধিগৃহিত জমির মালিকদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হবে।
 
জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে এসময় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. নাহিদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, কৃষিতে ভর্তুকিসহ সার, বীজ, কীটনাশক ও শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামগুলোতে পৌঁছে গেছে সৌর বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও তথ্য সেবা কেন্দ্র। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে কমিউনিটি কিক্লিকে গর্ভবতী মায়েদের প্রসূতি সেবা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ হাতের নাগালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। এটাই উন্নত বাংলাদেশ।  

মন্ত্রী এরপর বিকেলে সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নে ২৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে আট কিলোমিটার বাইপাস সড়কের ফলক উন্মোচন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।