ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আমলনামা ভালো নয়, অনেকেই মনোনয়ন পাবেন না

শামীম খান ও মহিউদ্দিন মাহমুদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
আমলনামা ভালো নয়, অনেকেই মনোনয়ন পাবেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলটির লোগো

ঢাকা: দলীয় সংসদ সদস্যদের অনেকের রিপোর্ট দেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব সংসদ সদস্যদের আমলনামা ভালো নয়, এদের অনেকেই আগামীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না।

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (পার্লামেন্টারি পার্টি) যৌথ সভায় দলটির তিনি এ কথা জানান বলে বৈঠক সূত্র জানা গেছে। শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ৫০ জন বর্তমান সংসদ সদস্যদের রিপোর্ট দেখেছি, আজ আরো ২০ জনের দেখলাম। তাদের অবস্থা ভালো না। এদের অনেকেই মনোনয়ন পাবেন না।

নির্বাচনে  প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার আগে বিভিন্ন সংস্থাসহ ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে আওয়ামী লীগ। সব রিপোর্ট জমা হয়  আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করে।

বিপক্ষে কাজ করলে আজীবন বহিষ্কার

বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি আসন্ন নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।

আসন্ন নির্বাচনে কেউ দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে আজীবনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাইকে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, অতীতে অনেকে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে, দলের শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। পরে নানা কারণে তাদের নমনীয় দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে। কিন্তু এবার আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে বা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে তাৎক্ষণিকভাবে সারাজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। দলে তারা স্থান পাবে না।

যাদের জনপ্রিয়তা আছে তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। যে মনোনয়ন পাবে না তাকেও যে মনোনয়ন পাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কারণ দলকে ক্ষমতায় আসতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিজয়ী হতে হবে।  

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সম্মান পাবেন। মানুষ সালাম দেবে। আর যদি দল ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হবে। এটা মনে রাখতে হবে।

জামায়াত-হেফাজত এক না

বৈঠক সূত্র আরো জানায়, সভায় শেখ হাসিনা জামায়াত আর হেফাজতকে এক করে না দেখতেও নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন।

নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, জামায়াত এবং হেফাজতকে এক করে দেখবেন না, বক্তব্য দেবেন না।


শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াত আর হেফাজত এক না। জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী কিন্তু হেফাজত স্বাধীনতা বিরোধী না।

এ সময় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি  বলেন, ১৪ দলের নেতাদের বলে দেবেন তারা যেন জামায়াত আর হেফাজতকে এক করে না ফেলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের নেতৃত্বে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং একটি বাম দলীয় জোট আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করতে আগ্রহী জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির আগামী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।