ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আ' লীগ ক্ষমতায় থাকবে'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আ' লীগ ক্ষমতায় থাকবে' আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সংসদীয় দলের যৌথসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী | ছবি: পিআইডি

ঢাকা: টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকবে। জনগণের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে।


 
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদীয় দল (পার্লামেন্টারি পার্টি) এর যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে এ আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ইনশাল্লাহ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও আমরা উদযাপন করতে পারবো। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকবে। আমরা না থাকলে কেউ ভালোভাবে পালন করবে না।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটেই আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস আছে।
 
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে উন্নয়নের ছোঁয়ায় সকলের জীবনে উন্নতি এসেছে, তাদের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে, নিশ্চয়ই সকলে তা উপলব্ধি করবেন, তারা সেটা ধরে রাখবেন। আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেবেন, আওয়ামী লীগকে জয়ী করবেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আমরা পালন করবো। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করবো।
 
তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য স্বাধীনতার ২৫ বছর অর্থাৎ স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল।
 
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা চায় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি; দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে। তারা নির্বাচন চায় কি চায় না?
 
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ আদালতের একটা রায় হয়েছে যে কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এই রায় থাকা সত্ত্বেও আমাদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনজীবী থেকে শুরু করে অনেকে, তারা কীভাবে দাবি করেন যে আরেকটি সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে?

ড. কামাল হোসেনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একদিকে দাবি করবেন সংবিধান রচয়িতা; অপরদিকে আবার সেই সংবিধান লঙ্ঘন করার জন্য ফর্মুলা দেবেন, অনির্বাচিত সরকার গঠন করতে বলবেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে বলবেন। এই আব্দারটা কেন? কার স্বার্থে?
 
ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এতো বড় বড় কথা বলছেন, তিনি কার সঙ্গে ঐক্য করলেন? যিনি এতিমের টাকা চুরির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, একুশে গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে নেতা মেনে জোট করলেন- তার মুখে দুর্নীতির কথা মানায়?
 
বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা যে দুর্নীতিবাজ, বাংলাদেশকে এরা লুটে খেয়ে গেছেন তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত।
 
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নতি হবে। না থাকলে যারা স্বাধীনতাই চায়নি, সেই শক্তি ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন থেমে যাবে। তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করবে না। ব্যক্তি উন্নয়ন করবে। অতীতেও আমরা তাই দেখেছি। জাতির জনককে হত্যার পর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা কোনো সরকারই দেশের উন্নয়ন করেনি। তাদের কাজ ছিল দুর্নীতি করা, স্বজনপ্রীতি, জাতির পিতার খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া।
  
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এমইউএম/এমজেএফ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আওয়ামী লীগ এর সর্বশেষ