ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

কেউ জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অশালীন উক্তি করলে রাষ্ট্র তার বিচার করবে বলেও তিনি জানান।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা জোট করেছেন, তাদের আমি স্বাগতই জানাই। কারণ আমি মনে করি, সবারই রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। আজ যারা রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দল মিলে জোট করছেন, তারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, এতে গণতন্ত্রের ভিত্তিটা আরও মজবুত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে এখানে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের যে কথা-বার্তা, যা কিছু এখন মানুষ জানতে পারছে, শুনতে পারছে.. তাদের কেউ কেউ মানুষকে সম্মান রেখেই কথা বলতে পারছেন না। বিশেষ করে নারী বিদ্বেষী মনোভাব, মেয়েদের প্রতি অশালীন কথা বলা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই শুনতে পাচ্ছি। আশা করি, তারা সংযত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের জন্য কাজ করতে হলে যতটা সহনশীল হতে হয়, রাজনীতি করতে হলে যে ত্যাগ দরকার হয় সেটা তাদের মধ্যে নেই। তারা যদি সত্যি রাজনৈতিক একটি জোট করেন এবং এগিয়ে যেতে চান অবশ্যই তাদের সেভাবে চলতে হবে। এটাই বাস্তব কথা। যেভাবেই হোক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করতে আমি পিছ পা হই না। রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করি। তবে কেউ যদি জঙ্গি, সন্ত্রাস বা মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকেন অথবা কেউ যদি অশালীন উক্তি করেন, আর মানুষ যদি বিচার চায়, সেই বিচার করাটাও রাষ্ট্রের কর্তব্য। রাষ্ট্র সে বিচার করবে এবং করে যাচ্ছে। সেটা দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে।  

বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আবার যদি দেশের মানুষ ভোট দেয়, দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। ক্ষমতায় আসার জন্য দেশের মানুষের ভোট যেমন প্রয়োজন তেমননি আল্লাহর ইচ্ছাটাও প্রয়োজন।
 

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মা-ভাইসহ সবাইকে হত্যা করা হয়। আমার ভাই শিশু রাসেলও এ হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পায়নি। ১৫ আগস্টের ১৫ দিন আগে আমাকে দেশ থেকে চলে যেতে হয়। তাই ভাগ্যক্রমে আমি আর আমার বোন বেঁচে যাই। যখন দেশে এসেছি, তখন একটি কথাই আমার মাথায় ছিল যে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষকে কতোটুকু দিতে পারবো সেটাই বড় কথা। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে পেরেছি। দেশের মানুষও তার ফল পাচ্ছে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ চলছে। দারিদ্র ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আরও কমাতে চাই। দেশ থেকে দারিদ্র দূর করতে পারবো সে বিশ্বাস আমার আছে। ২০২১ থেকে ৪১ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবো। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবো কি না জানি না, বয়স হয়েছে। তবে উন্নয়নকাজ অব্যাহত থাকবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমাদের মূল কাজ হবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দেশকে রক্ষা করা। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি দূর করে সুষ্ঠু সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮

এসকে/এসএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।