ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘ঐক্যফ্রন্ট ‌অশুভ শক্তির জোট, কোনো সংলাপ নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
‘ঐক্যফ্রন্ট ‌অশুভ শক্তির জোট, কোনো সংলাপ নয়’

ঢাকা: গণফোরাম-বিএনপিসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির অ্যালায়েন্স (জোট) আখ্যা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই অ্যালায়েন্সের সঙ্গে কোনো সংলাপে প্রস্তুত নয় আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির অ্যালায়েন্স।

এই অ্যালায়েন্সের সঙ্গে কোনো সংলাপে প্রস্তুত নয় আওয়ামী লীগ। তাছাড়া নির্বাচন কমিশন বলেছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে, তার মানে বাকি আছে ১০-১২ দিন। এরমধ্যে কীসের সংলাপ? কে কার সঙ্গে সংলাপ করবে? সংলাপ করার সময় কোথায়? দেশে সংলাপ করার মতো এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, প্রয়োজনীয়তাও নেই।

সিলেটে পুলিশের অনুমতি না পেলেও ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ করার ঘোষণা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগে সিলেটের মাজার জিয়ারত আমাদের দেশের রাজনৈতিক ট্র্যাডিশন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি মাজার জিয়াতের জন্য সেখানে যায়, সেটা কোনো বিষয় নয়। যদি সেখানে যায়, যেতে পারে। কিন্তু মাজার জিয়ারতের নামে কোনো প্রকার নাশকতা-সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা যদি থাকে, তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতিই নির্ধারণ করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে বিচলিত হওয়ার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ গত ১০ বছরে তারা কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। এখন তাদের জোট শুরু হতেই দুই উইকেট পড়ে গেছে। আসন ভাগাভাগির সময় আরও কতো ইউকেট পড়বে। আমাদের শক্তির উৎস দেশের জনগণ। অন্য কোনো শক্তিকে আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে প্রথমেই বিদেশিদের কাছে গিয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। নির্বাচনে বিজয়ী হলে তাদের নেতা কে হবেন, প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটাই তারা বলতে পারে না।

এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পার্টি আলাদা একটি দল। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলিয়ে যায়নি। তারা বিরোধী দল। সরকারের বক্তব্য আর বিরোধী দলের বক্তব্য এক নয়। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করতে চাইলে করবে, আমাদের সঙ্গে জোট করলে করতে পারে, সেটা তাদের ব্যাপার।

দল ভাঙা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাঙা গড়ার কোনো প্রক্রিয়ায় আমাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই। আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের সহযোগীদের নিয়ে আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো।

এক নারী সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের অশোভনীয় মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটি টেলিভিশন টক শোতে ১/১১ এর কশীলব ঐক্যফ্রন্টের নেতা মইনুল হোসেন যে অশালীন আচরণ করেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনায় নারী সাংবাদিকদের দাবির প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভায় সারাদেশে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচার অব্যাহত রাখা এবং জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮/আপডেট ১৫৫০ ঘণ্টা
এসকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।