ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাবিতে শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
রাবিতে শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ শিবির সন্দেহে আটক চার শিক্ষার্থী

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

এদিকে আটককৃতরা বঙ্গবন্ধু হলে থাকাকালীন মতিহার হল ও মমতাজ উদ্দীন ভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লিটন, দ্বিতীয় বর্ষের মুহাইমিন, সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নাসিম হাসান ও আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরুখ। এদের মধ্যে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারধরে তার পা রক্তাক্ত হয়ে যায় এবং দুই হাত গুরুতর জখম হয়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষার্থী দল বেঁধে মন্নুজান হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী শিবির সন্দেহে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে বঙ্গবন্ধু হলের ২৩৩ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী আটকে রেখে মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদের পর চারজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘শিবিরের ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে শোডাউন দিচ্ছে জানতে পেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযান চালায়। মন্নুজান হলের সামনে পৌঁছলে কয়েকজনকে একসঙ্গে দেখে সন্দেহ হয়। এ সময় কয়েকজন আমাদের দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আমরা তাদের আটক করি। তাদের মধ্যে চারজন শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ’

তবে আটকের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় লিটন ও মুহাইমিন বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে বিকেলে ঘুরতে এসেছিলাম। এ সময় সন্দেহবশত আমাদের আটক করা হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা কারণে আমাদের খুব মারধর করেছে। আমরা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। ’ 

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ জামান বলেন, ‘আমি যখন হলে আসি তখন আটককৃতসহ সবাইকে হল থেকে বের হয়ে যেতে দেখি। বহিরাগতদের আটক করে হলে নিয়ে এসে এভাবে আটকে রাখা আমার পছন্দ নয়। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকজনকে আটক করেছে। বিষয়টি শোনার পর আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। চারজনকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। ’

জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদেরকে এখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।