ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ’লীগ-বিএনপির দুই নেতার সমালোচনায় কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
আ’লীগ-বিএনপির দুই নেতার সমালোচনায় কাদের সচিবালয়ে বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতির বিষয়ে একটি টেলিভিশনের টক শো’তে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই নেতা এবং আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারকের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বলছে (সমাবেশের) অনুমতি দেওয়া হয় না। অনুমতি দেয়া হয়েছে, করুক।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তমঞ্চ করে দেব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে মাইকও সেট করে দেব। যার যা বলার বলতে থাকুন, কোনো অসুবিধা নেই।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকে উত্তেজনার কথা বলছেন, আমরা তো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেইনি। আমরা নিরীহ গণসংযোগ কর্মসূচি দিয়েছি। তাহলে কেন উত্তেজনার কথা আসবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আমলেও পুলিশের অনুমতি ছাড়া কি আমরা সভা করেছি? এখন তো অনুমতি আগের দিন দুপুরে দেওয়া হয়। আগে অনুমতি দেওয়া হত রাত ১১টার পর, যদি দিত। পার্টি অফিসের সামনে আমরা অনুমতি পাইনি। পুলিশের অনুমতির বিষয়টি চলে আসছে। আমাদেরও অনুমতি নিতে হয়, বিএনপির নিতে অসুবিধা কী?

টেলিভিশনে টকশোর বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, টকশো হচ্ছে ‘পুলিশের অনুমতি’ নিয়ে। বিএনপির যিনি টকশোতে গেছেন তিনি বলছেন রাজনৈতিক মিটিংয়ে পুলিশের অনুমতি! জানেই না কিছু। তারা যখন পাওয়ারে তখন বিরোধী দলের অনুমতির জন্য কী অবস্থা, সেটা ভুলে গেছেন। আমাদের যিনি গেছেন তিনি বলছেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলা করে সেজন্য... জানে না কিছু।

টকশোতে অংশ নেয়া ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে শাসানোর কথা জানিয়ে কাদের বলেন, তাকে কাল ধরলাম, তুমি যে ওখানে গেলা, ডুবাইতে গেছ?

‘এই হচ্ছে অবস্থা, দুই দিকের দু’জন কেউ জানে না। যারা সাবজেক্ট ঠিক করছে তারাও জানে না। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা যারাই দাবি করুন তাদের দাবির আলোকে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা সংবিধান সম্মত হবে না। এ সময়ে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগও নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়াটাই হচ্ছে তাদের প্রয়োজন। তাই তাদের দাবি একেবারেই অযৌক্তিক।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে প্রশাসনিকভাবে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বা গাফিলতি প্রকাশ্যে নেই। সচিবালয় সারাদেশের মতোই শান্ত, কোনো অস্থিরতা নেই।

তিনি বলেন, অস্থির অশান্ত পরিবেশে আপনি দাবি করতে পারেন, এখানে নির্বাচনকালীন একটা শক্তিশালী সরকার করা হোক। সেই বাস্তবতা তো এখানে নেই। বাংলাদেশ তো এখন অশান্ত নয়। অশান্তির উস্কানি দিচ্ছে, বিএনপিসহ তাদের সহযোগীরা। দেশ তো অশান্ত নয়। তাহলে শান্তির মধ্যে তারা অশান্ত জরুরি সরকার কেন চাচ্ছে। এখানে এমন কি পরিস্থিতি যে সেজন্য তাদের বিশেষ সরকার দরকার।

সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনে সবকিছু থাকে না, আইনের বিধি আছে, আবার প্রবিধি আছে। বিধিমালায় পরিস্কার করা হয়, আইনের ব্যাখ্যা দেয়া হয়। তথ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে কথা বলবেন, অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে বিধিমালা প্রণয়নের পর। সম্পাদক পরিষদের যদি এ ব্যাপারে যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব থাকে সেটা কেন গ্রহণ করবে না।

**বিএনপি না এলেও ঐক্য প্রক্রিয়া-ফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।