ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

একটি মহল স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের চক্রান্ত করছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
একটি মহল স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের চক্রান্ত করছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

শেরপুর: একটি মহল স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে আবারও পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে যারা অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা দিতে চায় তারা দেশের শত্রু। তাদের ব্যাপারে দেশবাসীকে সাবধান থাকতে হবে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নকলা পৌর শহরের ইশিবপুর এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

মোজাম্মেল হক বলেন, এ দেশকে আধুনিক সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধাসহ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বছরে পাঁচটি উৎসব ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দু’টি ঈদ বোনাসের পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ, মহান বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে উৎসব বোনাস দেওয়া হবে। প্রত্যেক অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য ১৫ লাখ থেকে ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সব চিকিৎসার ব্যয়ভার ইতিমধ্যেই সরকার গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের ঘটনাবলী অর্ন্তভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের নির্যাতনের ইতিহাস সংক্রান্ত ৫০ নম্বর এবং মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের ইতিহাসের ওপর ৫০ নম্বর থাকবে।  

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আছে, ছিল এবং থাকবে। তাই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা যে অবদান রেখেছেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার এ কোটা বহাল রাখবে। তাছাড়া উচ্চ আদালত থেকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।  

তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে মুছে ফেলার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করেছেন। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছেন। এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেতেন। কিন্তু এখন মুক্তিযুদ্ধবান্ধব সরকার ক্ষমতায়। তাই মুক্তিযোদ্ধারা এখন নিজ পরিচয় দিতে গৌরববোধ করেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা করা হয়েছে। এখন দেশকে আর পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। তাই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করার কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আশরাফুল আজীম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ স ম নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা কমান্ডার আবুল মুনসুর, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মাহবুবুল আলম, পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।