ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

নির্বাচনী সরকার গ্রহণযোগ্য হবে না: নোমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
নির্বাচনী সরকার গ্রহণযোগ্য হবে না: নোমান মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এই সরকারের মাধ্যমে এককভাবে নতুন কোনো মন্ত্রিসভা করা অযৌক্তিক এবং সেটি আমরা গ্রহণ করবো না।

তিনি বলেন, সরকারের ভাষায় আগামী জাতীয় নির্বাচন তাদের অধীনে হবে। কিন্তু আমরা মনে করি এ সরকারের ওপরে দেশের মানুষের আস্থা নেই।

তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

নোমান বলেন, আইয়ুবের সময় একই অবস্থায় আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইয়ুব পরাজিত হয়েছেন। ইয়াহিয়া খান পরাজিত হয়েছেন। এরশাদ পরাজিত হয়েছেন। তাদের সকলের অস্ত্র ছিল প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার। বন্দুক, রাইফেল বা হাতিয়ার তাদের সবার ছিল। কিন্তু এগুলো দিয়ে রাস্তার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেননি। রাস্তার আন্দোলন সফল হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও সরকার দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো লুটপাট করেছে, স্টক এক্সচেঞ্জের হাজার হাজার টাকা তাদের নেতাদের পকেটে চলে গেছে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে তাদের হস্তক্ষেপের কারণে এখন দেশ একটি অচলাবস্থার মধ্যে।

খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণের নেত্রী দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেজন্যই আমরা তার মুক্তি দাবি করছি। আগামী নির্বাচনে তার ভূমিকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রয়োজন। তিনি নির্বাচনের পূর্বে মুক্ত হয়ে আসুক এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখুক।

দেশনেত্রী অবশ্যই মুক্ত হবেন উল্লেখ করে নোমান বলেন, সবার আগে তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন। এই চিকিৎসা যদি না দেওয়া হয়, তাহলে বাংলার মানুষ একদিন গর্জে উঠবে। এই গর্জে ওঠা কোনো নতুন ঘটনা নয়। ৭১ সালে আমরা গর্জে উঠে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। গর্জে উঠেছিলাম এরশাদের সময়, মাত্র চারদিনের আন্দোলনে এরশাদ পরাজিত হয়েছিলেন।

আবারও গর্জে উঠে এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। এ প্রতিজ্ঞা নিয়ে যদি আমরা অগ্রসর হই তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের যে অতীত ঐতিহ্য তার ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারবো।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ড্যাব মহাসচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির সাদা দলের সদ্য নির্বাচিত আহবায়ক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড্যাবের সহ সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।