ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

২১ আগস্টের হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি হাছান মাহমুদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
২১ আগস্টের হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি হাছান মাহমুদের আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ হামলাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত  ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের নতুন ষড়যন্ত্র ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা সবসময় জানতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর ঝুঁকি রয়েছে।

তাই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কোনো সমাবেশ হলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভবনের উপর পাহারায় থাকতেন। কিন্তু সেদিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের দলের কোনো নেতাকর্মীকে ভবনের ছাদে উঠতে দেননি এবং গ্রেনেড হামলার পরপর আহতদের সাহায্যে যখন আমাদের দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এগিয়ে আসেন, তাদেরও লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।  

পানি দিয়ে রাস্তার উপর থাকা রক্ত ধুয়ে মুছে আলামত নষ্ট করা হয় এবং সেদিন যারা আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন তাদের সাসপেন্ড তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি বলেন হাছান মাহমুদ।  

‘সুতরাং আমি গ্রেনেড হামলার একজন ভিকটিম ও মামলার সাক্ষী হিসেবে তারেক রহমানসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলো তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি এবং খালেদা জিয়া যেহেতু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি এ দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাকেও বিচার ও শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি’।  

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ তারা কোটা আন্দোলনকারীদের ঘাড়ে চড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। এরপর বিএনপি ও ছাত্রদলের ২৫/৩০ বছরের যুবক ও মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পরিয়ে কোমলমতি বানিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। সবশেষ সমাবেশটাও সফল করতে না পেরে তাদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই তারা আবোল তাবোল বকছেন। প্রকৃতপক্ষে তাদের আসল উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, বাংলাদেশে আবারও একটি ‘বিশেষ’ পরিস্থিতি তৈরি করা।

আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত সন্নিকটে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে এবং যেভাবে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে, তা যদি জনগণের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি তাহলে যাদের বিবেক, বুদ্ধি আর জ্ঞান আছে তারা নৌকা ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দিবে না।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলম সাজু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, জিন্নাত আলি খান জিন্নাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।