ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

তাদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে: কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
তাদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে: কাদের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের

সিলেট: সিলেটে নৌকাকে ঠেকানোর জন্য যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, এই আত্মবিলাসী প্রতিযোগিতায় তারা রেহাই পাবেন না—তাদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সিলেটে শুধু ভাষণ দিতে আসিনি, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখবো, যতই প্রভাবশালী নেতা হন না কেন? প্রমাণ হলে কারো রেহাই নেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সিলেট রেজিস্ট্রার মাঠে বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সিলেটে চাইলে আওয়ামী লীগ জোর করে জিততে পারত। কিন্তু শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন কারচুপি করে জয়ের স্বপ্ন-অভিলাস আমাদের নেই। সিলেটে অনেক হয়েছে, কারা কী করেছেন তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ হলে যত বড় নেতা হন না কেন কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অপরাধের দায় হাওয়া ভবনের যুবরাজ তারেক রহমান কি এড়াতে পারবেন? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই সময় খালেদা জিয়া সরকার ক্ষমতায় ছিলো। গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হলেন। খালেদা জিয়া সরকার এই হামলার মাস্টারমাইন্ড। হাওয়া ভবনের ‘যুবরাজ’ কি এই হামলার দায় এড়াতে পারে? পারে না!

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করেই হামলা করা হয়। এই অপরাধের দায় খালেদা জিয়া কি অস্বীকার করতে পারেন? হামলার তদন্তে এফবিআইকে কাজ করতে দেয়া হয়নি। সাদেক হোসেন খোকা সমস্ত আলামত নস্ট করেছেন। অথচ বিএনপি মিথ্যাচার করেছে শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে এসেছে আত্মহত্যা করার জন্য। বিএনপির কাজই মিথ্যাচার করা।

তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার শিকার আমিও। সেই সময় রক্তের মধ্যে আমিও পড়ে গিয়েছিলাম। ১৪ বছর আমি চেয়ারে বসতে পারি না, নামাজে সিজদা দিতে পারি না। কাদের অত্যাচারে এমন হলো?

ইভিএম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচনে ইভিএম-এর দাবি করেছি যুক্তি দিয়ে। তবে ইভিএম ব্যবহারে আপরাদের (বিএনপি) আপত্তি কোথায়? তবে যতই চক্রান্ত করুন না কেন বাংলাদেশে আর ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না। ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সকাল ১০টার আগেই ভোটের ভোট শেষ, সেই নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেয়া হবে না। আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব। কারা কারা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া বসে ষড়যন্ত্র করছে সব তথ্যই আমাদের কাছে আছে।  ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত বাংলার জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।

কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, অ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এ কে এম এনামূল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ স্থানীয় নেতারা।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী সভা পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এমআইএস/এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।