ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘শান্তির স্বার্থে’ অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১৮
‘শান্তির স্বার্থে’ অভিভাবকদের সহযোগিতা চাই

ঢাকা: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও ক্যাম্পাসে ফেরাতে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, শান্তির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও ক্যাম্পাসে ফেরাতে অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা চাই।

শনিবার (০৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশকারীরা আন্দোলনে ঢুকেছে। তবে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছে গোয়েন্দা বাহিনী।

এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, শঙ্কায় চালকরা গাড়ি নিয়ে সড়কে নামতে চাইছে না, আমরা নামাতে চেষ্টা করছি।          

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিনামার যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। এগুলো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন। তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠকে স্বাগত জানিয়েছি। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। কেউ দলীয়ভাবে এ আন্দোলন সমর্থন দিয়েছেন, এটা সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে চেয়েছে। আমাদের উদ্বেগ হলো, তাদের শান্তিপূর্ণ, ইনোসেন্ট আন্দোলনে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এগুলো খারাপ লক্ষণ।  

তিনি বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরতে বলেছেন, তাদের শুভবোধকে স্বাগত জানাই। তবে যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে রাজনীতির বিষবাষ্প দিতে চেয়েছেন, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, এদের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখছে গোয়েন্দা বাহিনী। তবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দমন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশ ধৈর্যধারণ করছে।

মন্ত্রী বলেন, ঘাতক বাসের মালিক-চালক-হেলপার বিচারের মুখোমুখি হয়েছে। আমার মনে হয়, এর মধ্য দিয়ে সরকার জরুরি কাজটি করে ফেলেছে। দুই পরিবারকে ডেকে সান্ত্বনা দিয়েছে, সহায়তা করেছে। এবং দুই পরিবারের দায়িত্ব খোদ প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। ওই দুই পরিবারও শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের ৯টি দাবি আমলে নিয়ে সরকার তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় আন্ডারপাস করার কাজও করা হচ্ছে, এটি সেনাবাহিনী করছে। স্পিডব্রেকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাম্বলস্ট্রিটও করা হবে। ফিটনেসবিহীন সব গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হবে, এরইমধ্যে কাজও শুরু করেছে বিআরটিএ। এখন শান্তির স্বার্থে আমরা এই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সহযোগিতা চাই।

এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মতো নালিশ পার্টির টপ-টু বটম নেতারা পদত্যাগ করলে দেশের মানুষ স্বস্তি পাবে।

সম্পাদকমণ্ডলির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সসয়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮ 
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।