ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা বেশি জনপ্রিয়: আইআরআই

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
খালেদা জিয়ার চেয়ে শেখ হাসিনা বেশি জনপ্রিয়: আইআরআই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলই বেশি জনপ্রিয়। একটি সমীক্ষা চালিয়ে এমন তথ্যই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)।

গত ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে বেশ কিছু ফোকাস গ্রুপ আলোচনার (এফজিডি) ভিত্তিতে এই সমীক্ষা চালানোর পর সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আইআরআই। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের আট বিভাগে ১৬টি এফজিডি’র ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এ নিয়ে শনিবার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি গবেষণা প্রতিবেদনটির সম্পর্কিত সংবাদের লিংক শেয়ারও করেন।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) পরিচালিত একাধিক এফজিডি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা খালেদা জিয়া ও বিএনপি থেকে পরিষ্কারভাবে বেশি। ’সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসআইআরআই’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে দলীয় জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্থনীতি, নিরাপত্তা, দুর্নীতি ও জাতীয় নির্বাচনসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে জনতার অভিমত তুলে ধরা হয়। এক্সিকিউটিভ সারসংক্ষেপে গবেষণার আটটি প্রধান তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণা তথ্য-১: গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে তাদের বেশির ভাগ এই আর্থিক দুরাবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেননি।

গবেষণা তথ্য-২: অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতিকে ‘গুরুতর’ সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন। তারা অভিমত দেন, এই দুর্নীতিই মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে।

গবেষণা তথ্য-৩: অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনে জালিয়াতি এবং সহিংসতার ব্যাপারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান। পাশাপাশি প্রায় সবাই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

গবেষণা তথ্য-৪: গবেষণায় অংশ নেওয়া বেশির ভাগই স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান ও বর্তমান উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।  

গবেষণা তথ্য-৫: বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) ও এর দল নেতা খালেদা জিয়া এবং জামায়াতের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। বিরোধী দলগুলোর প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের দৃষ্টিকোণ থেকে সংসদীয় বিরোধী জাতীয় পার্টির বিষয়ে তুলনামূলক ইতিবাচক মনোভাব বেশি পোষণ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

গবেষণা তথ্য-৬: গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিভক্ত অভিমত দেন।

গবেষণা তথ্য-৭: বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ্যে আলোচনা করতে ভয় পান। কারণ তারা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়ার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় ভোগেন।

গবেষণা তথ্য-৮: অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে মিশ্র মতামত দেন, বেশির ভাগের মতামতই ছিলো নেতিবাচক। তবে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকার ভালো কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮/আপডেট ১১০৯ ঘণ্টা
এমইউএম/এমজেএফ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।