ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘ফাউল করলে হাঁটু ভেঙে পড়ে যাবেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
‘ফাউল করলে হাঁটু ভেঙে পড়ে যাবেন’ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ নাসিম

ঢাকা: বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। সংবিধানে আছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছোট সরকার হবে। যারা তখন দেশ পরিচালনা করবেন তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবেন। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, জনগণ যে রায় দেবে সেই রায় আমরা মেনে নেবো। আপনারা নির্বাচনে আসেন।

অনেক খেলা খেলেছেন, আর দয়া করে ইলেকশনের মাঠে ফাউল করবেন না। ফাউল করলে হাঁটু ভেঙে পড়ে যাবেন।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ নসিম।  

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ শীর্ষক এ আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনএফ এর প্রেসিডেন্ট সংসদ সদস্য এসএম আবুল কালাম আজাদ।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিএনপিই দায়ী। আমরা অনেক লড়াই সংগ্রাম করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছিলাম। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আন্দোলন সংগ্রাম করে এই পদ্ধতি এনেছিলাম। এটি বিএনপি সম্পূর্ণ ধংস করে দিয়েছে। তখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি ভোটারবিহিন নির্বাচন করেছিলেন। পরে এক মাসের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এটা কি মানুষ ভুলে গেছে?

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যে শাহাবুদ্দিনকে বিশ্বাস করে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেই শাহাবুদ্দিন লতিফুর রহমানকে নিয়ে ২০০১ সালে নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন করলেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে কিভাবে সদ্য বিদায়ী একটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তথাকথিত সমতার নামে অসম আচরণ করা হয়েছিল। সেদিন বিএনপির এই বড় বড় কথা কোথায় ছিল?

তারপরের ৫ বছরের ইতিহাস আপনারা সবাই জানেন। ২০০৩-০৪-০৫ সালের পত্রিকা খুলে দেখেন আমাদের ওপর কী ধরনের নির্যাতন করা হয়েছিল। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলতে গেলে ৫টি বছর আওয়ামী লীগের অফিস কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। মিছিল মিটিং করতে পারিনি, যোগ করেন মোহাম্মদ নাসিম।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যখন নির্বাচন হতে যাচ্ছে তখন জোর করে ইয়াজ উদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানালেন। আপনি নিজে বলেছিলেন সংবিধানের বাইরে আমরা যাব না। মান্নান ভূইয়াও বলেছিলেন সংবিধানের বাইরে যেতে পারবেন না। আমরাও এখন সেই কথা বলছি, সংবিধানের বাইরে যেতে পারবো না। আপনারা রেকর্ড খুলে দেখেন কী বলেছিলেন। তাই বলতে চাই, পাপ বাবকেও ছাড়ে না। আপনাদের পাপেই আপনাদের ধরেছে।

আইনজীবীদের কারণেই খালেদা জিয়া জেলে আছেন দাবি করে নাসিম বলেন, আপনি জেলে আছেন এই আইনজীবীদের কারণে যাদের কারণে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি হারিয়েছেন। এদের কারণে নির্বাচনে না যেয়ে মাঠও হারিয়েছিলেন, সংসদও হারিয়েছিলেন। এদের কারণেই এখনো জেলখানায় আছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। অনেক আন্দোলন করেছেন, জ্বালাও-পোড়াও করেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আর এ সমস্ত করবেন না। দয়া করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনএফ এর কো-চেয়ারম্যান মমতাজ জাহান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর নজরুল ইসলাম মারুফ, কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান খান, সৈয়দ মাহবুব হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।