ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

৭ মার্চে বিশাল গণজমায়েতের প্রস্তুতি আ’লীগের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৮
৭ মার্চে বিশাল গণজমায়েতের প্রস্তুতি আ’লীগের

ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় রাজধানীতে বৃহত্তর গণজমায়েতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ জনসভাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের শোডাউনে পরিণত করতে ইতোমধ্যেই সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে দলটি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্বে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। গত বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণকে বিশ্ব ঐহিত্যের স্বীকৃতি দেয়।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ওই ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযু্দ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে মুক্তিকামী মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। ওই ভাষণই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা।

ঐহিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দিবসটিতে প্রতি বছরই রাজধানীতে জনসভা করে আওয়ামী লীগ। তবে এ বছর ৭ মার্চকে একটু ব্যক্তিক্রম হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন দল। ইউনেসকোর স্বীকৃতির পর প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ইইনেসকোর স্বীকৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের ৭ মার্চে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার কর্মসূচি নিয়েছে দলটি।

সম্প্রতি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা ও সাজা পরবর্তীতে বিএনপির আন্দোলনসহ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের মাঠে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে ৭ মার্চে ঢাকায় বৃহত্তর জনসমাবেশ ঘটানোর প্রস্তুতি চলছে। ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়েও জনসভা, সমাবেশেরে কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আশা করছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ওই দিন স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে সারা ঢাকা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। একটি উৎসবের আমেজ তৈরি হবে। জনসভায় আগামী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও স্থান পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানান, জাতীয় নির্বাচনের বছরে ঢাকায় একটি বৃহত্তর জনসমাগম করা দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সামনে বৃষ্টি-বর্ষার মৌসুম রয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে বড় ধরনের জনসমাগম ঘটানোর সময় থাকবে না। তাই নির্বাচনী শোডাউনের এটাই উপযুক্ত সময়।

আওয়ামী লীগ নেতারা আরো জানান, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন এবং দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের জনসভা সফল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় যেন স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটানো যায় সেই ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকল পর্যায়ের নেতাদের। নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন নেতারা। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে থানা, ওয়ার্ড ও মহানগরের অন্তর্গত ইউনিয়নে কর্মীসভা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বাংলানিউজকে বলেন, এবারের ৭ মার্চ আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পর এবারই প্রথম দিনটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ৭ মার্চের জনসভায় আমরা সর্বস্তরের মানুষ সমবেত করে একটা বিশাল গণজমায়েত ঘটাতে চাই।

জনসভার প্রস্তুতি কার্যক্রম সম্পর্কে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন সকাল-বিকাল আমরা প্রস্তুতি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে থানা, ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় কর্মীসভা করছি, লিফলেট বিতরণ করছি। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসছেন। আমরা ঢাকা উত্তর থেকে জনসভায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটাবো।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।