ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে বিএনপির লাফালাফির কিছু নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে বিএনপির লাফালাফির কিছু নেই’

ঢাকা: ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে বিএনপির লাফালাফির কিছু নেই। আদালতের এর আগের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ায় বিএনপিই অবৈধ হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আদালতের অন্য রায়ের সমালোচনা করা গেলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়েও সমালোচনা করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (০৯ আগস্ট) আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে কখন, কোথায়, কার সঙ্গে বসছেন, বৈঠক করছেন সব তথ্য সরকারের কাছে আছে। সময়মতো এসব তথ্য প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে কথা বলছে, লাফালাফি করছে। এ রায়ের পর্যবেক্ষণে তো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারেরও সমালোচনা করা হয়েছে। সেটি নিয়ে বিএনপি কথা বলে না কেন? আদালতের এর আগের রায়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের পর বিএনপিই তো অবৈধ হয়ে যেতে পারে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে যা করা হয়েছিলো, সব কিছুই তো অবৈধ হয়ে গেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের রায় নিয়ে যদি সমালোচনা করা যায়, পত্রিকায় লেখা যায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের পর মানি না বলে মিছিল করা যায়, হরতাল দেওয়া যায়, তাহলে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে কথা বলা যাবে না কেন? এ রায়েরও সমালোচনা করা যেতে পারে। তবে আইনমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন’।

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় সাংবাদিকবান্ধব। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড নিয়ে যেসব কথা বলেছেন, সেগুলো তার ব্যক্তিগত। এটি আওয়ামী লীগ ও সরকারের বক্তব্য নয়’।

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, দেশের জন্য আওয়ামী লীগের অবদান ও শেখ হাসিনার জীবন সংগ্রামের বিভিন্ন বিষয়ে মাসব্যাপী সেমিনার করা হবে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে টানা ১০টি সেমিনার করবো’।

তিনি বলেন, আগামী বছর যেহেতু সরকারের শেষ ও নির্বাচনের বছর, সেহেতু নির্বাচনী প্রচারণায় ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। কিভাবে প্রচার চালানো হবে, সেসব বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেবো’।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার হোসেন, প্রচার উপ-কমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিকি বিটু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এসকে/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।