ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনমুখী কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত খুলনা আওয়ামী লীগ!

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
নির্বাচনমুখী কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত খুলনা আওয়ামী লীগ!

খুলনা: প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গোছানো শুরু করেছে সংগঠন। গত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদটি হাতছাড়া হয়ে যায় দলটির। আর তাই এবার আগেভাগেই সব অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে পদটি পুনরুদ্ধার করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। সাথে রয়েছে বিভাগের ৩৯টি সংসদীয় আসন। সব বিবেচনা  মাথায় রেখে দলের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে দশ জেলা আর নগরের প্রায় বিশ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে খুলনায় মিলনমেলা করেছে তারা। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত কর্মীরা।

তারা বলছেন, কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে হবে সব কোন্দল।

এর সাথে একমত প্রকাশ করে নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ, কলহ-কোন্দলে জড়িয়ে নিজেরাই যেন নিজেদের প্রতিপক্ষ সৃষ্টি না করে কেউ। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এখন থেকেই নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহবান জানান তিনি। একই সাথে আগাম নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।

এরপর থেকে খুলনাজুড়ে আওয়ামী লীগে চলছে সাংগঠনিক কর্মযজ্ঞ। চলছে প্যাকেজ কার্যক্রম। শুরু হয়েছে বর্ধিত সভা । তৃণমূলে সাংগঠনিক নানা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। দলের প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতে মানুষের কাছে যাওয়ার ও তাদের মন জয় করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।


৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর খুলনা বিভাগে আওয়ামী লীগের এমন বিশাল অয়োজন আর দেখা যায়নি। তাই সিটি করপোরেশন আর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯ জুলাই খুলনা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভাকে ঘিরে নেতাকর্মীরা যেমন উজ্জীবিত ছিলেন, তেমনি দশ জেলা আর শহর সেজেছিল নানা সাজে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার আর ফেস্টুন ছিলো গোটা বিভাগ জুড়ে। এসবের মধ্যে নির্বাচনের আমেজ খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। খুলনার সংসদ সদস্য ও সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় চালাচ্ছেন আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা।

খুলনা মহানগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ সোমবার (১৭ জুলাই) বাংলানিউজকে বলেন, এমন মিলনমেলা আগামী নির্বাচনে দলের ভেতর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি জানান, ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে জয়লাভ করে নিজেদের শাসনামলেই ২০২১ সালের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায় দলটি। আর এক্ষেত্রে সামনের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে পুরো দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।


খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বাংলানিউজকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করতে খুলনা আ’লীগ তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোর ফিরিস্তি তুলে ধরে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৯ জুলাই খুলনায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসার পর দলের নেতা-কর্মীরা উৎফুল্ল হয়েছে। তিনি যেসব নির্দেশ দিয়ে গেছেন পর্যায়ক্রমে সেসব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সোমবার (১৭ জুলাই) খুলনায় অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার মহিলা আওয়ামী লীগের সভা রয়েছে। ২১ জুলাই মহানগর আ’লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে আমরা নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।


বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমআরএম/জেএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।