ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি

অরফানেজ মামলার বিচারিক আদালত ফের পরিবর্তন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
অরফানেজ মামলার বিচারিক আদালত ফের পরিবর্তন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় ফের আদালত পরিবর্তনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম এখন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে চলবে।

মামলাটির প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে রোববার (১৪ মে) এ আদেশ দেন বিচারপতি শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত বদলের আবেদন মঞ্জুরের দেড় মাস পর গত ২৬ এপ্রিল দুদকের এ মামলায় ফের আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছিল। তবে এ আবেদন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট।

এর আগে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে চলমান থাকা ‍অবস্থায় খালেদা জিয়া বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন।

কিন্তু গত ০২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান খালেদা জিয়া। যেটি মঞ্জুর হয় ০৮ মার্চ। হাইকোর্ট মামলাটি মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেন।
 
এ আদেশ অনুসারে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে চলছিল। আগামী ১৫ মে ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে।  

গত ১৩ এপ্রিল খালেদা জিয়া এ বিচারকের প্রতিও অনাস্থা দেন। আদালত সে আবেদন নাকচ করে দিলে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি।
 
আবেদনে বলা হয়েছিল, বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুদকের আইন শাখার মহাপরিচালক ছিলেন। আর ওই সময় এ মামলাটির দেখ-ভাল করেছেন তিনি। তাই তার প্রতি খালেদা জিয়ার আস্থা নেই।  
 
২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad