ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি

প্রধানমন্ত্রীর ‘একক ক্ষমতা’য় ‘ভারসাম্য’ আনবে বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর ‘একক ক্ষমতা’য় ‘ভারসাম্য’ আনবে বিএনপি বক্তব্য রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: ডিএইচ বাদল

হোটেল ওয়েস্টিন (ঢাকা) থেকে: প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিকশাসনের জন্ম দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে।

বুধবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  

নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠ‍ার প্রত্যয়ে দলের পরিকল্পনা তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

এতে ‘ভিশন-২০৩০’ ন‍ামে বিশেষ পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিএনপি প্রধান।  

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ ২০ দলীয় জোটের নেতারা উপস্থিত হন।  

খালেদা জিয়া বিএনপির ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়নে ৩৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। এ রূপ ব্যবস্থা সংসদীয় সরকার পদ্ধতির স্বীকৃত রীতির পরিপন্থি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় দেশবাসী গভীরভাবে উপলব্ধি করছে যে, প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। এ রূপ অবস্থার অবসানকল্পে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজ‍াতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট ব্যবস্থা বাতিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থ‍া বাতিল, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তন, সংবিধানের কিছু নির্ধারিত বিষয় সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ, কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য করার বিধান প্রবর্তন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্তকরণের বিধানসহ কয়েকটি অগণতান্ত্রিক বিধান প্রণয়ন করেছে। বিএনপি এসব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক বিধানাবলী পর্যালোচনা ও পুনঃপরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে।

এসময় বিএনপি প্রধান ঘোষণা দেন, তার দল সংবিধানে ‘গণভোট’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করবে।

জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করারও ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র গড়ে তুলেছিল, আজ সে রাষ্ট্রের মালিকানা তাদের হাত নেই। তাই দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি।

সব বাধা-বিঘ্ন জয় করে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়া বলেন, আমরা যে প্রস্তাবনা তুলে ধরছি এতে দেশবাসীর মতামত যুক্ত হলে তা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
‌এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।