ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
সংবিধানে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই

ঢাকা: সংবিধানে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই, যে সরকার রয়েছে সেই সরকারই নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করে যাবেন। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং টিম নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।

 

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডীর আলোচনা সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।


তিনি বলেন, আমরা আশা করবো আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। সেই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। যে দল তৃণমূলে শক্তিশালী সেই দলই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হবে। সম্প্রতি যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তাতে আওয়ামী লীগ শতকরা ৯০ ভাগ আসনে (জায়গায়) আওয়ামী বিজয়ী হয়েছে। এই নির্বাচনে কেউ কোনো অনিয়মের অভিযোগ করেনি। আসলে বিএনপি যখন হেরে যায় তখন হতাশায় ভেঙে পড়ে।

 

কাদের আরও বলেন, বিএনপি এখন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের কথা বলছে, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার বলে কিছু নেই। যে সরকার থাকবে সেই সরকারই নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সময় সব দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। সরকারের কিছু করার থাকবে না। সরকার রুটিন কাজ করে যাবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংগঠনকে কীভাবে সুশৃঙ্খল করা যায় সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা কিছু সমস্যাপর কথা তুলে ধরেছেন। এসব সমস্যা সমাধানে আমরা জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসবো। আগামী নির্বাচনের আগে সুশৃঙ্খল, স্মার্ট ও আধুনিক দল গড়ে তুলে আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। আগামী ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৭ এপ্রিল পর্যায়ক্রমে কয়েকটি জেলার সঙ্গে সববো।


আওয়ামী লীগে কাউয়া ও ফার্মের মুরগি ঢুকেছে বলে তার বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এগুলো মজা করে বলেছি। ৩/৪ ঘণ্টা নেতা-কর্মীরা বসে থাকে তাদের রিফ্রেশমেন্টের দরকার আছে। শুধু টক-ঝাল কথা বললে হয় না।


হাওয়র অঞ্চলের কৃষকদের ফসলের ক্ষতি বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এক মাস ধরে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে রয়েছে। যেখানে দেশের রাষ্ট্রপতি গিয়ে তিন দিন থেকে এসেছেন। মির্জা ফখরুলের সেখানে যাওয়া ফটোসেশন ও ধাপ্পাবাজির কথা বলা ছাড়া আর কিছুই না। ত্রাণমন্ত্রী নিজে সেখানে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহববু উল আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে সেখানে। হওর এলাকায় যত দিন এই সমস্যা ততদিন সরকার সেখাকার মানুষের পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭/আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা

এসকে/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।