ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাষ্ট্রপতির উপর নির্ভর করছে ইসির ভবিষ্যৎ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
রাষ্ট্রপতির উপর নির্ভর করছে ইসির ভবিষ্যৎ চাষী নজরুল ইসলাম স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি কী করবেন তার উপর নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোট এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বঙ্গভবনে সংলাপ করেছেন রাষ্ট্রপতি।


 
আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ চলাকালে সেগুনবাগিচায় আয়োজিত স্মরণসভায় ফখরুল বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠন করা যেতে পারে, সে ব্যাপারে খালেদা জিয়া সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাদের সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করেছেন। আমাদেরকে প্রথম ডেকেছেন, সেই জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে আওয়ামী লীগ যাচ্ছে। শেষ পযর্ন্ত তিনি (রাষ্ট্রপতি) কী করবেন, তার উপর নির্ভর করবে নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ-বলেন বিএনপির মহাসচিব।
 
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, যদি একটি নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। তাহলে ভবিষ্যতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচিত করার উপর।
 
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, একটি দল তথাকথিত উন্নয়নের নামে লুটপাট চালাবে; উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্রকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে- এটা এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
 
সারা দেশ চলমান ‘উন্নয়ন মেলা’র বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খান উন্নয়নের ১০ বছর পালন করেছিল। আর ১৯৬৯ সালে তাকে পত্রপাঠ বিদায় নিতে হয়েছিল। আজকে যারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তাদেরকেও বিদায় নিতে হবে।
 
‘আপনাদেরকে গণতন্ত্রের ভাষা শিখতে হবে’ বিএনপির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের ভাষা শিখতে বলছেন? কার কাছে গণতন্ত্রের ভাষা শিখব? যারা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে পিষে মেরে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছিল? আবার এখন সুযোগ পেয়ে একই কাজ যারা করছে?
 
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গত তিন বছরে ৭বার সোহওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে পায়নি বিএনপি। অথচ গত ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি এবং ১০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা করেছে!
 
প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে ফখরুল বলেন, চাষী নজরুল ইসলাম ছিলেন, ব্যতিক্রমী একজন মানুষ। বাংলাদেশের যে ক’জন চলচ্চিত্রকার সিনেমা তৈরির মাধ্যমে দেশ বিনির্মাণ ও সমাজ গঠনের চেষ্টা করেছিলেন, তাদের মধ্যে চাষী নজরুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম।
 
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কবি আবদুল হাই সিকদার, জাসাসের সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এজেড/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।