ঢাকা, শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

জেলা পরিষদ নির্বাচনে যশোরে বিজয়ী হলেন যারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৫, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
জেলা পরিষদ নির্বাচনে যশোরে বিজয়ী হলেন যারা

যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

যশোর: যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে দুইটি করে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে স্থগিত করা হয়। আর একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে শাহ হাদিউজ্জামান ও ১ নং সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, যশোর জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডে ইব্রাহিম খলিল ৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবিরউদ্দিন আহম্মেদ ৩৮ ভোট পেয়েছেন। তবে এ পদে অপর প্রার্থী ইলিয়াজ আজম কোন ভোট পাননি। ৩ নং ওয়ার্ডে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোটগ্রহণ হয়নি।

৪ নং ওয়ার্ডে হবিবর রহমান ৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু হেনা মোস্তফা কামাল ৩৯ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া কামরুজ্জামান পেয়েছেন সাত ভোট। তবে অপর প্রার্থী মফিজুল ইসলাম কোন ভোট পাননি।
৫ নং ওয়ার্ডে তৌহিদুর রহমান ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনিচুর দেওয়ান ৩৪ ভোট পেয়েছেন।

৬ নং ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান মিন্টু ৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল ইসলাম ১৯ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াজেদ আলী পেয়েছেন ৮ ভোট।

৭নং ওয়ার্ডে আব্দুল খালেক ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজাহার হোসেন স্বপন পেয়েছেন ১৪ ভোট। অপর দুই প্রার্থী  সৈয়দ মেহেদী হাসান ১৩ ও নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৯  ভোট।

৮ নং ওয়ার্ডে এফএম আশরাফুল করিব ৪৭  ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নাল আবেদীন ২২ ভোট পেয়েছেন। আর  আব্দুর রউফ ২০ ভোট পেয়েছেন। তবে অপর প্রার্থী সুলতান মাহমুদ কোন ভোট পাননি।

৯ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থগিত করা হয়।  

১০ নং ওয়ার্ডে শাহ মুরাদ ২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিউল ইসলাম ১৯ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া এই ওয়ার্ডে ফারাজী আশিকুল ইসলাম বাধন ১৫ ভোট, আব্দুর রউফ মোল্লা ১৩ ভোট ও মুন্সী আব্দুল মাজেদ পেয়েছেন ৩ ভোট।
১১ নং ওয়ার্ডে এম এম ফারুখ হুসাইন ২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পরিতোষ কুমার মণ্ডল ২৪ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া প্রণয় কান্তি চৌধুরী ২৩, মশিউর রহমান ১৪, পরিতোষ বিশ্বাস ৫ ভোট পেয়েছেন।

১২ নং ওয়ার্ডে গৌতম চক্রবর্তী ৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমজাদ হোসেন ২০ ভোট পেয়েছেন। আর অরবিন্দু কুমার ১৪ ও হাফিজুর রহমান ৩ ভোট পেয়েছেন।

১৩ নং ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম ৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলাউদ্দিন ৩৫ ভোট পেয়েছেন। আর রিপন কুমার ৬ ভোট পেয়েছেন।

১৪ নং ওয়ার্ডে হাসান সাদেক ৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন বিশ্বাস ১৪ ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে শাহীন আলম কোন ভোট পাননি।

১৫ নং ওয়ার্ডে সোহরাব হোসেন ৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অরুণ কুমার দে ২৫ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী মশিউর রহমার সরদার এক ভোট পেয়েছেন।

১ নং সংরক্ষিত মহিলা পদে শাহানা আক্তার ১৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মঞ্জুন্নুনাহার নাজনীন ৯৭ ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে বিজীয় শাহানা আক্তার (ফুটবল প্রতীক) শার্শা উলশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৮, শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে ৬০ এবং ঝিকরগাছা উপজেলা মিলনায়তন কেন্দ্রে ৪৪ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়।

৪ নং সংরক্ষিত মহিলা পদে লায়লা খাতুন (ফুটবল প্রতীক) ১৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী জলি আক্তার (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ১১৮ ভোট। এর মধ্যে বিজয়ী লায়লা খাতুন অভয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে ৫৫ ভোট, ভবদহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৪০ ভোট ও মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্রে ৩৬ ভোট পেয়েছেন।

৫ নং সংরক্ষিত মহিলা পদে রুকসানা ইয়াসমীন পান্না (ফুটবল প্রতীক) ২০৫  ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাবেয়া খাতুন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৬৫ ভোট পেয়েছেন। এর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী পান্না মণিরামপুর রাজগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭১, কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬২ ও কেশবপুর পাজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭২ ভোট পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
ইউজি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ