রাজশাহী: বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর ইফতারির টোকেন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্র“পের এক কর্মীকে দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিহার থানা সূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, ঘটনার পরপর রাবির শাহ মখদুম হল তল্লাশি করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান মাস্টার্সের ছাত্র সাইদ ও চতুর্থ বর্ষের রুহুল আমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বর্তমানে এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অপরদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নাসিমের অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের উদ্দেশ্যে úাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. একরাম উল্লাহ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘নাসিমের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। জখম গুরুতর বিবেচনায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ’
নাসিমের বন্ধু জসীম উদ্দিনসহ কয়েকজন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত নাসিমের জ্ঞান ফিরেনি। তার নাক-মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত বের হচ্ছে।
সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, রাবির ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাসিমের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা এলাকায়।
রাবি শাহ মখদুম হলের প্রাধ্য দুলাল চন্দ্র রায় ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাকারিয়া বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, হল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় দ’ুজন গ্রেপ্তার হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ কর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা হয়। ওইদিনই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে।
এর আগে পুলিশ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তবে এখনও সভাপতি পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১০