ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অন্যান্য দল

মতিঝিল-শাহাজাহানপুর-কমলাপুরে গণসংহতির গণসংযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
মতিঝিল-শাহাজাহানপুর-কমলাপুরে গণসংহতির গণসংযোগ

রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ঢাকা শহরব্যাপী গণসংযোগ সংগঠিত করার লক্ষ্যে মতিঝিল-শাহজাহানপুর-কমলাপুর অঞ্চলে প্রচারপত্র বিলি ও জনসংযোগ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

ঢাকা: রামপাল কয়লা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ঢাকা শহরব্যাপী গণসংযোগ সংগঠিত করার লক্ষ্যে মতিঝিল-শাহজাহানপুর-কমলাপুর অঞ্চলে প্রচারপত্র বিলি ও জনসংযোগ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় দলটির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু ও ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীরা।

সুন্দরবন রক্ষায় সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও ইউনেস্কোর তাগিদ সত্ত্বেও রামপাল প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বর্তমান সরকার মরিয়া। এতই মরিয়া যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানির এমডি ভারতীয় নাগরিক উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য সুন্দরবন প্রকল্প এবং এ দেশের জনগণকে নিয়ে আবোল-তাবোল বললেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

‘আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি বলে কিছু নাই, সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতেই প্রকল্প করা হবে। তারা এটি নিয়ে এতদিন নাটক করেছেন’- কোম্পানির এমডির বক্তব্য তুলে ধরে গণসংহতির নেতারা বলেন, এমডির কথা থেকে পরিষ্কার এই প্রকল্পে দূষণ রোধের যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলো ফাঁকিবাজি। উজ্জ্বল কান্তি বাংলাদেশের জনগণকে অবমাননা করছেন, সরকারকে মিথ্যাচারের দোষে দুষ্ট করছেন সরকারেরই প্রশ্রয়ে। এটা বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরোধী হলেও সরকার তার বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেয়নি।

বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের ফুসফুস, রক্ষাকবচ সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর সমস্ত প্রকল্প রুখে দেবে। একই ‍সাথে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশের সার্বভৌম মর্যাদাও রক্ষা করবে বলে গণসংযোগে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।

আগামী ২৬ নভেম্বর তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যু-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মহাসমাবেশ সফলের উদ্দেশ্যে ওই দিন পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জনসংযোহ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে গণসংহতি আন্দোলন।

কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শুকবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টা একইসাথে মিরপুর ১০ নং গোলচত্বর থেকে পল্লবী হয়ে কালশী মোড়ে এবং কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা ঘাট থেকে দক্ষিণ মান্দাইল পর্যন্ত প্রচারপত্র বিলি, পথসভা ও জনসংযোগ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।