ঢাকা: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ২০০৭-এ আগস্টের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের দিন স্মরণ করল ছাত্র ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত ‘আগস্টের ছাত্র অভ্যুত্থান ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা সেসময়টি স্মরণ করেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মানবেন্দ্র দেব বলেন, ‘আগস্টের ছাত্র অভ্যুত্থান ছিল এদেশের ছাত্রসমাজের একটি বড় সফলতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এ আন্দোলনের উৎপত্তি ও পরে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বস্তরের জনগণ পরবর্তীতে এতে অংশ নেয়। ’
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, ‘দেশে আর যেন কোনো সেনাশাসক না আসতে পারে কিংবা কেউ যেন এতটুকু সুযোগ নিতে না পরে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ’
আগস্টে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নির্যাতনের নায়ক মইন-ফখরুদ্দিনসহ সবার দ্রুত বিচারের দাবিও জানান তিনি।
মূলপ্রবন্ধে আবু তারেক সোহেল বলেন, ‘নির্যাতনের পদ্ধতি এখন বদলে গেছে কিন্তু নির্যাতন করার রাষ্ট্রীয় ইচ্ছার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমন অবস্থায় সরকারি নির্যাতন বন্ধের জন্য চাই সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ছাত্র-আন্দোলন। ’
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সেনাশাসনের অধ্যায় শেষ হলেও বর্তমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও ছাত্রসমাজের ওপর নির্যাতনের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সরকারের পোষা র্যাবের হাতে কলেজছাত্র লিমনের পঙ্গুত্ববরণ, আমিনবাজারে পুলিশের মদদে পিটিয়ে ছয়ছাত্র হত্যা ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদেরের ওপর পুলিশি নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা রাষ্ট্রের নির্যাতনের জ্বলন্ত প্রমাণ। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান ইকবাল সজীবের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন, দলের সাধারণ সম্পাদক পিনাকী রঞ্জন পিন্টু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতা আগস্টের নির্যাতনের শিকার আবু সায়েম, ঢাবি শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক কামরুস সালাম প্রমুখ।
আলোচান সভা শেষে ওই দিনের সেনা নির্যাতন ও ছাত্রদের আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১১