ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বরিশালে অপহরণ করে নির্যাতন যুবদল নেতাকে

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১১

বরিশাল: বরিশালে এক যুবদল নেতাকে অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রাতভর নির্যাতনে তার হাত-পা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।



মঙ্গলবার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার একটি ইটের ভাটা থেকে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তার অবস্থা আশংকাজনক।

নির্যাতনের শিকার যুবদল নেতার নাম আনিছুর রহমান মিলন (৪২)। তিনি বরিশাল মহানগর ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলে সাধারণ সম্পাদক।

শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনিছুর রহমান মিলন বাংলানিউজকে জানান, সোমবার রাতে গীর্জা মহল্লা কশাই মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় শেষে কাঠপট্টির নিজ বাসায় ফিরছিলেন তিনি।

পথিমধ্যে বাকলারমোড় এলাকার সৈয়দ কায়সার মিয়ার ছেলে ভুট্টো, বাজাররোড এলাকার নাইয়া বশির, লাইনরোড এলাকার জাফর ও কাঠপট্টি এলাকার মুন্না তাকে অপহরণ করে।

তারা একটি প্রাইভেট কার যোগে তাকে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে কায়সার মিয়ার মালিকানাধীন ইট ভাটা সুপার ব্রিকস্ েনিয়ে যায়।

তাকে ভাটায় একটি গাছের সাথে বেধে ফেলে। এর পর শুরু হয় নির্যাতন।

ভুট্টোর নির্দেশে ভাটার শ্রমিকরা লাঠি, লোহার রড ও গাছের খাটিয়া দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়।

নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

অপরহণ ও নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কাঠপট্টি এলাকার একটি জমিতে ঘর উঠানো নিয়ে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে তার বিরোধ রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ মিন্টু দাসের সাথে ভুট্টোকে কথা বলতে দেখা গেছে। এর পরেই এ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ’

আরো বিপদ হওয়ার আশংকায় এসব কথা না লেখার জন্য বাংলা নিউজকে অনুরোধ করেন মিলন।

মিলনের স্ত্রী হালিমা আক্তার রুবি জানান, অপহরণের খরব শুনে তিনি কোতয়ালি থানায় ছুটে যান। পরে তাকে সেখান থেকে বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়।

তার মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বন্দর থানা পুলিশ সকালে সুপার ব্রিকস থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, আনিছুর রহমান মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুপার ব্রিকসের তিন কর্মচারীকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মিলনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ভোররাতে নগরীর কাঠপট্টি চার্চ ওয়ার্ড মন্দিরের জমি দখল করে ঘর তুলতে যায় আনিছুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে কয়েক জন।

পরে খরব পেয়ে সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণ গিয়ে তা উচ্ছেদ করেন।

এ ঘটনায় মিলনের সাথে হিন্দুদের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

এ বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারে।


বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad