ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

দলকে সুসংগঠিত করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
দলকে সুসংগঠিত করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়াই চ্যালেঞ্জ

ঢাকা: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও গতিময় ও ‘স্মার্টার’ করাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ওবায়দুল কাদের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেন।



তিনি বলেন, দলের চ্যালেঞ্জ হলো আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্টিকে আরও গতিময় করা, স্মার্টার করা এবং ছোটখাট যে সমস্যাগুলো আছে, ইন্টারনাল ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে এনে দলকে সুসংগঠিত করে নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া।

 


বিভিন্ন সময়ে হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে সমালোচনা করে আসছিলেন ওবায়দুল কাদের। হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলে সব ধরনের লোকই থাকে। নতুন লোকও আসে। আমার এখানে যে বিষয়টা কনসার্ন থাকবো, যে বিষয়টা দেখতে হবে, যাতে বসন্তের কোকিলরা এসে দুঃসময়ের কর্মীদের কোনঠাসা করে না ফেলে। তাতে দল দুর্বল হয়ে যাবে। দুঃসময়ে যারা জেল-জুলুম-নির্যাতন সয়েছে, তারা যদি কোনঠাসা হয়ে পড়ে তাহলে দল দুর্বল হয়ে পড়বে।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সরকার এবার অত্যন্ত শক্তিশালী। আমার উদ্দেশ্য হলো একটা স্ট্রং টিম ওয়ার্ক করা। শক্তিশালী সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী দলও আমরা গড়ে তুলবো।

‘আমরা যথা সময়ে নির্বাচন করবো বার বার বলে আসছি। দু’বছর দু’মাস সময় আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংসদ শেষ হওয়ার আগের তিন মাসের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করা সংবিধানের নিয়ম। আমরা যথা সময়ে নির্বাচন করবো। দলের কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা অলরেডি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ’

বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচন করতে চায় তাহলে এখন সংবিধানে যা আছে সেটা পরিবর্তন বা সংশোধনের সুযোগ নেই। সংবিধানেই আছে কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। বিএনপিকে সেটা মেনে নিতে হবে। এসব করে আবার তারা যদি পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আর একটা কোনো কনফিউশন তৈরি করে তাহলে তারা নিজেরাই নিজেদের ভুলে ফাঁদে পড়ে যাবে।

সব দল নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা চিন্তাভাবনা করছি কীভাবে করা যায়। নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন ও আইন সংশোধন বিষয়ে বলেন, সংবিধানে যা আছে তাই করবো।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হবে কিনা- জানতে চাইলে বলেন, বিএনপি কী? বিএনপির সঙ্গে কেন আলোচনা করতে হবে? বিএনপি কী আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রেখেছে? তারা তো দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। কোকোর লাশ যেদিন এলো, সেদিনই তো ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মনের দরজা-সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হলো, খালেদা জিয়া যদি সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিতেন, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনেও তাদের অংশগ্রহণ থাকতো এবং এদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্নভাবেও লেখা হতে পারতো। আজকে তাদের অভিযোগের কোনো কারণ থাকতো না। এখন তারা দেশ ছেড়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ জানাচ্ছে, এখানে তারা নির্বাচনও করেনি আবার আন্দোলনেও ব্যর্থ। এখন নালিশ আর নালিশ, অভিযোগ আর অভিযোগ। পেশাগত তাদের কিছু নেই, ঘরে বসে প্রেসব্রিফিং-স্টেটমেন্ট। দুই-চার-পাঁচশ’ লোক নিয়ে একটা প্রসেশন করবে, প্রটেস্ট করবে সেই সক্ষমতাও তারা হারিয়ে ফেলেছে। অপজিশন হিসেবে নিজের সক্ষমতা না থাকলে নিজের গুরুত্বটা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপিকে সুবিধ‍াজনক অবস্থান দিতে হবে- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুবিধা কেন দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন করবে। সেটা যাতে তারা করতে পারে, সেই কর্তৃত্বপূর্ণ ও স্বাধীন ভূমিকা থাকবে, যদি আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না করি, সহযোগিতা করি তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা তো নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬/আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।