ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জোট-মহজোট দিয়ে সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়: কাদের সিদ্দিকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১১
জোট-মহজোট দিয়ে সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়: কাদের সিদ্দিকী

ঢাকা: জাতি এখন গভীর সংকটে নিমজ্জিত উল্লেখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জোট-মহাজোট দিয়ে এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।  

রোববার সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ও গণতন্ত্রের জন্য করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।



কাদের সিদ্দিকী বলেন, জাতীয় সমস্যা সমাধানের নামে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সমস্যাকে শতগুণ বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে জাতি এখন গভীর সংকটে নিমজ্জিত। জোট এবং মহজোটের মাধ্যমে এ গভীর সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের মধ্য থেকে তৃতীয় শক্তির উদ্ভব ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা জোট মাহাজোটের বাইরে একটি জনগণের শক্তি গঠনের কাজ শুরু করেছি সফল হতে পারব কিনা জানিনা।

আ.স.ম আব্দুর রব বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমার মনে হচ্ছে দেশটা আমিনবাজার হয়ে যেতে পারে।   মানুষ যখন রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তখন আইন হাতে তুলে নেয় বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নয়, দেশকে কুরুক্ষেত্রে পরিণত করার জন্য সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়েছে। এই সংশোধনী দেশের কোনো সাধারণ মানুষ চায়নি। পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে দেশ-জাতি এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতিক বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর যে পরিমাণ সমালোচনা হয়েছে অতীতের মোট চৌদ্দটি সংশোধনীর সমালোচনা একত্রে তা হয়নি। সমালোচনা করার বিরুদ্ধে জাতিকে যে ধমক দেওয়া হয়েছে সেটি একেবারেই অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন অর্থনীতির জন্য বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এবং কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী কথা রেশ ধরে বলতে চাই এই কালো ছায়া তাদের সৃষ্ট।   কালো ছায়া দীর্ঘ হলে স্বাধীনতা বিপন্ন হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।

মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের চাহিদা মোতাবেক সংবিধান সংশোধনের পথকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশস্ত করা হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা দক্ষলের পথ।

বেশকিছু অনুচ্ছেদ অপরিবর্তন যোগ্য করে বর্তমান, ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং সংসদ সদস্যদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে।

এর থেকে উত্তরণের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রবর্তনসহ ৫ দফা দাবি উস্থাপন করা হয়। এবং জোট-মহাজোটের বিকল্প শক্তি গঠনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন।

জেএসডি সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতিক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বায়ক সাইফুল হক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতিক, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরাজী, জেএসডি সহ-সভাপতি এমএ গোফরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।