সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় ভিক্টোরিয়া স্কুল রোড থেকে দত্তবাড়ী মোড় পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে প্রেসক্লাবের দরজা, সাংবাদিকের মোটরসাইকেল, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করেছে সংঘর্ষকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আরাফাত রহমান হীরককে সভাপতি ও ম-ল মো. শামিম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার পর বঞ্চিত দত্তবাড়ী এলাকার কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এর জের ধরে শনিবার রাত ৮টার দিকে দত্তবাড়ী এলাকার সাদী, মুসা, মিলনের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেলকে ভিক্টোরিয়া কোয়ার্টার এলাকায় ধাওয়া করে।
এরপর সোহেলের অনুসারীরা পাল্টা অবস্থান নেয়। এতে উভয় গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ সহিদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে, সোহেল গ্রুপের কর্মী শোভন প্রেসক্লাবে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষের কর্মীরা শোভনকে সেখানে ধাওয়া করে। এসময় প্রেসক্লাবের দরজা ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলামের মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। প্রেসক্লাব ভাংচুর ও সংঘর্ষের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ সহিদ আলম জানান, কলেজ শাখার ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১১