ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘নির্বাচনী ইশতেহারের দিক-নির্দেশনা থাকবে ঘোষণাপত্রে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
‘নির্বাচনী ইশতেহারের দিক-নির্দেশনা থাকবে ঘোষণাপত্রে’

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে আগামী নির্বাচনের জন্য দলের নির্বাচনী ইশতেহারের দিক-নির্দেশনা থাকবে। সে অনুসারে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

শেখ সেলিম জানান, আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট করে বলা হবে, দেশে একজন যুদ্ধাপরাধী থাকা পর্যন্ত তার বিচার হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির সভায় এসব কথা জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল হিসাবে গড়ে তোলার দিক-নির্দেশনাও দলের ঘোষণাপত্রে থাকবে। এ ঘোষণাপত্রের আলোকে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করা হবে। সে অনুসারে ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য গৃহীত ১০টি মেগা প্রকল্পের ঘোষণা থাকবে দলের এই ঘোষণাপত্রে। যা বাস্তবায়িত হবে ২০৪০ সালের মধ্যে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত মজবুত হবে। আওয়ামী লীগের এ ঘোষণাপত্রে সামাজিক নিরাপত্তার কথা রাখা হয়েছে। সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকবে।

শেখ সেলিম বলেন,  অনির্বাচিত সরকারের অধীনে বাংলাদেশ যাতে না যায় সে বিষয়টিও স্পষ্ট থাকবে। সরকার পরিবর্তন বুলেটে হবে না, সরকার পরিবর্তন ব্যালটে হবে। সে বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে আনা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি এবারও ঘোষণাপত্রে থাকবে। দেশে একজন যুদ্ধাপরাধী থাকা পর্যন্ত তার বিচার হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রসীমা জয় করেছি। সমুদ্রে যে প্রচুর পরিমাণে সম্পদ ও ঐশ্বর্য রয়েছে তা ব্যবহারের প্রক্রিয়াও কি হবে সেটাও আমাদের ঘোষণাপত্রে থাকবে’।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।