ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিচারকদের মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি: ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১
বিচারকদের মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম সম্পর্কে বিচারকদের মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।



সংবিধান নিয়ে কটূক্তি করায় গত মঙ্গলবার ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর মামলায় হাজিরা থেকে অব্যাহতি আবেদনের আদেশের এক পর্যায়ে বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিচাপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছেন ‘জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য আমরা বিচারিক বিবেচনায় নিয়েছি। তার বক্তব্য দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ’

বিচারপতিদের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রুলের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও গত বেশ কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যেরই প্রতধ্বনি। ’

রাজনৈতিক বিষয় আদালতে টেনে আনা উচিত নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক বক্তব্য রাজনৈতিকভাবেই মীমাংসা হওয়া উচিত। সেটি আদালতে টেনে এনে বিতর্কিত করা হয়েছে। দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে অস্থিতিশীলতার দিকে। ’

প্রতিহিংসা ও বেআইনিভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বিষোদগার, কুৎসা ও অশালীন বক্তব্য এ সরকারের মানবাধিকার ও গণবিরোধী এজেন্ডার মধ্যে অন্যতম। এ এজেন্ডার অংশ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা আদেশ আকারে বাস্তবায়ন করেছেন শাসকদলের অন্ধ অনুগত্যকারী কতিপয় বিচারপতি। ’

হাট-ঘাট-মাঠ, বন্দর প্রতিষ্ঠান দখল প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীনেরা আদালতও দখল করে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘বিচারকের রায় দিয়ে যেমন সত্যকে গোপন করা যায় না, ঠিক তেমনি দলীয় বিচারকের আদেশে একজন ব্যক্তির দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। ’

এ ঘটনায় ১৩ জন আইনজীবীর সনদ বাতিলে আদালতের রুল ও ১৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে বিক্ষুদ্ধ আইনজীবীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া আওয়ামী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি ক্ষুব্ধ, বিস্মিত ও হতবাক হয়েছে। ’

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রহুল কবীর রিজভী, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, সহ-স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad