ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি সুরঞ্জিতের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০১১
আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি সুরঞ্জিতের

ঢাকা: আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের আহ্বান জানিয়ে আইন বিচার ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘আদালতের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত না হলে আদালত কলুষিত হবে, যার প্রভাবে রাষ্ট্রও কুলষিত হবে। ’  

তিনি বলেন, ‘আদালতে নিরাপত্তা যথেষ্ট নয়, অবিলম্বে বিচারকদের কক্ষে সিসিটিভি দিতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিরা যাতে নির্বিঘেœ বিচারকাজ সম্পন্ন করতে ও রায় দিতে পারেন সে বিষয়েও যথেষ্ট নিরাপত্তা দিতে হবে। ’

বৃহস্পতিবার ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়শনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘আদালত একটি পবিত্র স্থান। এখানে কারো হস্তক্ষেপ খাটে না। আদালত অবমাননার ঘটনা আগেও ঘটেছে। তখন প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা হয়েছিল। সেই ঘটনার বিচার না হওয়ায় আজকের এই ঘটনা। আদালতের রায়কে সবার ওপর স্থান দিতে হবে। কারণ আদালত কলুষিত হলে রাষ্ট্রও কলুষিত হবে। ’

আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেন বলেন, ‘আইনের শাসনকে অস্বীকার করা হলে রাষ্ট্রকেও অস্বীকার করা হবে। আইনের শাসনকে অস্বীকার করে, রাষ্ট্রকে অবমাননা করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাই আমাদের আইন ও আইনের শাসনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে। ’  

তিনি আরও বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরা জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই ধরনের ঘটনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে না। ’

এ সময় তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘সংবিধানের সমালোচনা থাকতে পারে। সংবিধানের সমালোচনা আর অবমাননা এক জিনিস নয়। বিরোধীদলীয় নেত্রী যখন কথা বলবেন, তখন তাকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে হবে। ’  

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে উত্থাপিত বির্তক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সংশোধিত সংবিধান প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা একটা সংবাদ সম্মেলন করবো। এ সংবাদ সম্মেলনেই সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর হবে। ’

টিসিবিকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দ্যেশে এ নেতা বলেন, ‘শুধু ব্যক্তিত্ববাজি করে নয়, কার্যকর ব্যবস্থা নিন যাতে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। ’

প্রয়োজনে বাজার প্রতিযোগীতায় পাবলিক সেক্টরকেও এগিয়ে আনা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠন সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগ সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ করিম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোট যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অরূণ সরকার রানা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।