ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

গ্রেনেড হামলার মূল হোতা তারেক জিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
গ্রেনেড হামলার মূল হোতা তারেক জিয়া

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে গ্রেনেড হামলার মূল হোতা বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, হাওয়া ভবনে বসে তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বিআইডব্লিইটিসি ভবনে বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী।

শাজাহান খান বলেন, গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিধাতার অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। সেই নৃশংস হামলার কথা মনে পড়লে আজও আমার হাত-পা অবশ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ১৭ বার হামলা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতার শত্রুরা কখনও সফলতা অর্জন করতে পারেনি, পারবেও না। তবে এখন যে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে সেটা বিএনপি ও জামায়াতের সৃষ্টি। এদের প্রধান টার্গেট শেখ হাসিনা।

নৌমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তিনি একটি ফেরিও কিনতে পারেনি। কিন্তু শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ১৭টি ফেরি কিনেছেন। বর্তমান সরকার দেশের জন্য কাজ করে, দেশের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্নার বিষয় উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ফখরুল সাহেব এখন কান্না করেন কেন? দীর্ঘ এক যুগ পরে বুঝলে কী হবে? আগেই আপনাদের বোঝার উচিত ছিলো। কিন্তু আপনারা যখন নৃশংসভাবে ২৪ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন তার সদুত্তর কে দেবে? যতই কান্নাকাটি করেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে সব খুনির বিচার হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেড কামরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. মহসিন ভূঁইয়া ও বিআইডব্লিইটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
এসজে/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।