ঢাকা: জামায়াতের আরও ২২জন নেতাকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মামলায় শীর্ষ পাঁচ নেতা গ্রেপ্তারের পর এ নতুন তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা।
একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকায় মাওলানা সোবহান, মকবুল আহমাদ, এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা এম এ আজিজ, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরসহ কেন্দ্রীয় শুরার সদস্য ও বিভাগীয় সিনিয়র নেতারা রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, তালিকাভুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটের অভিযোগ থাকায় খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া জামায়াতের যেসব নেতা যুদ্ধাপরাধ বিচারকাজে বাধা দিতে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন বলে সরকার মনে করছে তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, উপরের নির্দেশ পেয়ে এ সপ্তাহে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দফা তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় জামায়াতের কোনো নেতা গ্রেপ্তার হননি। সর্বশেষ বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর কার্যালয় থেকে জামায়াতের ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে এরই মধ্যে সমন জারি হওয়া জামায়াত নেতা, কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ওই সময় মহানগর কার্যালয়ে ছিলেন এ খবর পেয়েই অভিযান চালায় পুলিশ। তবে বুধবারে শেষ পর্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এর আগেও আব্দুল্লাহ মো. তাহেরকে খুঁজতে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। মূলত এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন এমন নেতাদেরই গ্রেপ্তার করার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি গোয়েন্দাসূত্র বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানায়, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে এরই মধ্যে দলের বেশ ক’জন শীর্ষ নেতার বাসায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১০