ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

আলেম সমাজকে নিয়েই জঙ্গি সমস্যার মূল উৎপাটন করবে সরকার

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
আলেম সমাজকে নিয়েই জঙ্গি সমস্যার মূল উৎপাটন করবে সরকার ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকার আলেম সমাজকে সঙ্গে নিয়েই জঙ্গি সমস্যার মূল উৎপাটন করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

ধর্মের নামে জঙ্গি কর্মকাণ্ডকে বিশ্বব্যাপী সমস্যা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ সমস্যার প্রভাব কিছুটা হলেও বাংলাদেশে পড়েছে। ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে যারা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। আমি দেশের আলেম-ওলামদের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা খুতবা-বয়ানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরুন, জঙ্গিবাদ গোটা মুসলিম উম্মাহকে যে বিপদাপন্ন করে তুলেছে সে ব্যাপারে বক্তব্য রাখুন।

সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। আলেম সমাজকে সঙ্গে নিয়েই সরকার এ সমস্যার মূল উৎপাটন করবেন।

আলেম সমাজকে স্বাভাবিক নেতা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জুমার নামাজের খুতবায় জঙ্গি বিরোধী বক্তব্য তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কেউ ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। এজন্য সরকারের তরফে কেবল অনুরোধ করা হয়েছে মাত্র।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশব্যাপী যেসব জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের যারা এ পথে এনেছে তারা অতীতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো। পত্রিকায় দেখলাম জামায়াত তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে বিবৃতি দিয়েছে। অথচ গুলশান-শোলাকিয়ার ঘটনা নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল বিবৃতি দিলেও জামায়াত কোনো কথা বলেনি।

এ থেকেই স্পষ্ট কারা এসব গুপ্ত হত্যাকাণ্ড, জঙ্গি কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ সমস্ত ঘটনাপ্রবাহের ইন্ধনদাতা, অর্থের যোগানদাতাদের গোয়েন্দা সংস্থা চিহ্নিত করেছে। আশা করছি অচিরেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিদের পাশে রেখে জঙ্গি বিরোধী জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। এটি জাতির সঙ্গে মশকরা ছাড়া আর কিছুই না। যদি তিনি এ বিষয়ে আন্তরিক হতেন, তাহলে জামায়াতকে ছাড়তেন।

বিএনপি জোটের যে সমস্ত দলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত জঙ্গি আছে সেসব দলগুলোকে বাদ দিতে হবে। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলেই বেগম জিয়ার কথা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে।

সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা সভায় বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।