ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘পুরোহিত হত্যাকারীরা বিএনপি-জামায়াত সদস্য’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৬
‘পুরোহিত হত্যাকারীরা বিএনপি-জামায়াত সদস্য’ ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাইবান্ধা: দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ব্যবসায়ীসহ পুরোহিত হত্যার ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সবাই বিএনপি-জামায়াতের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া।

 

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর চালানো গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ শুক্রবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো আইএস নেই। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করেন এবং একই কায়দায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ব্যবসায়ীসহ পুরোহিত হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা সবাই বিএনপি-জামায়াতের সদস্য। দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় ফেলতে তারা হিন্দু ভাইদের হত্যা করছেন।  

তিনি মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় অপরাধীরা উপজেলা পরিষদে হামলা করার সাহস পেয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। এতে পুলিশের মদদ রয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কেউ না।

ভাঙচুরের এতো পরে ঘটনাস্থলে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদ অ‌ধি‌বেশন থাকায় আসতে পারিনি। তাছাড়া স্পিকার অসুস্থ রয়েছেন, এ অবস্থায় আ‌সি কি করে। শুক্রবার সংসদ না থাকায় এসেছি। এসে দে‌খি এই অবস্থা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সফিউজ্জামান ভূঁইয়া, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, ফুলছড়ি থানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল বাসার প্রমুখ।

গত ৪ জুন ফুলছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নির্বাচনে সেই আওয়ামী লী‌গের দলীয় প্রার্থী ফুলছ‌ড়ি ইউ‌নিয়ন আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি আজহারুল হান্নান ইউ‌নিয়ন আওয়ামী লী‌গের সহসভাপ‌তি আব্দুল গফুর মন্ড‌লের কাছে পরাজিত হন।

অ‌ভি‌যোগ র‌য়ে‌ছে ফুলছ‌ড়ি উপজেলা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি সে‌লিম পার‌ভেজ ও সা‌বেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান রিপন স্থানীয় আওয়ামী লী‌গের নেতাকর্মী‌দের মতামত উ‌পেক্ষা ক‌রে এক সম‌য়ে বিএন‌পি করা হান্নান‌কে ম‌নোনয়ন পেতে সহ‌যো‌গিতা ক‌রেন।

কিন্তু পরাজিত হয়ে হান্নানের সমর্থকরা নির্বাচনের পর‌দিন দুপুর ১২টায় উপজেলা প‌রিষদে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীরা উপজেলা প‌রিষদ অফিসের দরজা-জানালার কাঁচ ও চেয়ার-টে‌বিল ব্যাপক ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পরদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজসহ ৫৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৬
এসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।