ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রোজার আগেই বৃহত্তর ১৯ জেলায় জনসভা, ঈদের পর তৃণমূল সম্মেলন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১
রোজার আগেই বৃহত্তর ১৯ জেলায় জনসভা, ঈদের পর তৃণমূল সম্মেলন

ঢাকা: সংগঠন শক্তিশালী ও গতিশীল করতে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোজার আগেই দেশের বৃহত্তর ১৯ জেলায় জনসভা কববে তারা।

পাশাপাশি ঈদের পরপরই দলটি তৃণমূল সম্মেলন শুরু করবে। এ সময়ে বাকি থাকা ১১টি জেলার সম্মেলনও শেষ করা হবে।

এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম সম্পাদক ও মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করবে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকম-লীর সভায় এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

আসছে সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দলের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এ সময়  আগামী ছয় মাসের মধ্যে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর কাউন্সিল সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘দলের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা এ বৈঠক করেছি। বৈঠকে শোকের মাসের কর্মসূচিসহ সাংগঠনিক কিছু কর্মসূচির খসড়া করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে। তাই সরকারের সঙ্গে সমন¦য় করে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এছাড়া সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সঙ্গেও শোকের মাসের কর্মসূচি সমন¦য় করা হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে রোজার আগে দেশের বৃহত্তর ১৯ জেলায় জনসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই এ বিষয়ে টিম গঠন করা হবে। ঈদের পর ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিল শুরু করা হবে। এছাড়া দলের চলমান সদস্য সংগ্রহ অভিযান আরও জোরদার করতে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’

বিরোধী দলের লাগাতার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি পাল্টা প্রস্তুতি কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা এবং আগামী নির্বাচনের আগে সংগঠন গোছানোর জন্যই এসব কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। আমরা সর্বশক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচন মোকাবিলা করতে চাই। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণ প্রলপ্রসু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন কোনো সিরিয়াস আন্দোলন করছে না যাতে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন হবে। ’

আশরাফ বলেন, ‘তৃণমূল ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের আগে যে ১১টি জেলার সম্মেলন হয়নি সেগুলোর সম্মেলনও দ্রুত করে ফেলা হবে। এরপর ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। ’

সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় অন্য রাজনৈতিক দর্শনের কর্মীদের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যে অভিযোগ আছে সে বিষয়ে সতর্কতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সদস্য সংগ্রহ শুরু হয় ওয়ার্ড পর্যায় থেকে। সদস্য সংগ্রহের সময় চুলচেরা বিশ্লেষণের সুযোগ নেই। কারণ আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, গণমুখী দল। কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারপরও সতর্কতার সঙ্গে নতুন সদস্য করা হচ্ছে। ’

তিনি আরো জানান, আগামী বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ¥ায় এ মতবিনিময় সভা হবে। এতে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংবিধান সংশোধনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং দলের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad