ঢাকা: শেষ দিনে মাঠেই নামেনি টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতাল ডাকা ধর্মাশ্রয়ী ১১ দল। এসব দলের নেতা-কর্মীরা পিটেকিং তো দূরের কথা, নিজেরাই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বসে ছিলেন ভেতরে।
তাই সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বহাল হরতাল থাকলেও নিরুত্তাপ ছিলো রাজধানীসহ সারা দেশ।
পুরানা পল্টনে ৫৯/৩ সুরমা টাওয়ারের ৫ম তলায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের কার্যালয় ছিলো তালা মারা। ভেতরে ক’জন কর্মী বসা ছিলেন। মাঝে মধ্যে কার্যালয় থেকে হরতালের সমর্থনে শ্লোগান ও নিচে লিফলেট ফেলা ছাড়া হরতালের সকালটা নিরুত্তাপ আবহেই কেটে যায় সেখানে।
বিপরীতে ওই এলাকায় সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিলো।
বেলা ১২টার পর হরতাল ডাকা আর ১০ দলের নেতাদের নিয়ে সেখানে আসেন খেলাফত মজলিশের নেতারা। তারা সংবাদ সম্মেলনে হরতাল সফল হয়েছে দাবি তুলে শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।
পিকেটিং না করলেও সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ দলেরই অংশগ্রহণ ছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে মূলত ১১ দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ। আরো ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব নিজামুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবীর, সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহিউদ্দীন রব্বানী, যুগ্ম-সম্পাদক ড. খলিলুর রহমান, নেজামে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল লতিফ, এনডিপির মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, জাতীয় ওলামা পরিষদের সভাপতি দীন মো. কাশেমী, সেক্রেটারি বেলায়েত হোসেন ফিরোজী, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আব্দুল খায়ের, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব জাফরুল্লাহ খান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এবং নারীনীতি- ২০১১ বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক ১২ দল রোববার সকাল ৬টা থেকে ৩০ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয়।
পরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন শুধু রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিলেও অবশিষ্ট ১১ দল সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল বহাল রাখে।
দলগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ-ভাসানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ইসলামিক পার্টি ও নেজামে ইসলাম পার্টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১১