ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরম মিথ্যাচার করেছেন’

সাইদ আরমান ও সাজিদুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১
‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরম মিথ্যাচার করেছেন’

সংসদ ভবন থেকে: বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে পুলিশি পিটুনির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরম মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের মিছিলে হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা হারুন ও বিপ্লব সরকারের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তারা।



হরতালের প্রথম দিনে মানিক মিয়া এভিনিউতে ফারুককে বেধড়ক পিটুনির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান।

সংসদ ভবন  চত্বরে সকাল সোয়া ন’টায় এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচি চলাকালে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘বুধবার সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে তাদের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী বিনা উস্কানিতে জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালায়। ’

তারা বলেন, ‘এ ঘটনা সরকারের দেউলিয়াত্বের বহি:প্রকাশ। এ সরকারের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। ’

তারা আরো বলেন, ‘সংসদ ভবন এলাকায় এ ধরনের হামলার ঘটনা নজিরবিহীন, নিন্দনীয় ও সকল সংসদ সদস্যের জন্য অমর্যাদাকর। ’

বক্তারা আরো বলেন, ‘জয়নুল আবদিন ফারুক সবসময় নেতা-কর্মীদের জন্য অন্তঃপ্রাণ। তিনি সরকারের সকল নির্যাতন থেকে কর্মীদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। তার এই তৎপরতার জন্যই সরকার তাকে হত্যা করতে চেয়েছে। ’

বক্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন স্পিকার আব্দুল হামিদের বোনের ছেলে বলে তার কোনো শাস্তি হবে না।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আশরাফ উদ্দিন নিজান, মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, রেহানা আক্তার রানু, সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া, নিলোফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা প্রমুখ।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জয়নুল আবদীন ফারুকের উপর নির্যাতনের বিষয়ে মিথ্যাচার করেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। এই নির্যাতন ও মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ’

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ‘সংসদ এলাকায় এমপিদের উপর এ ধরনের হামলা জনপ্রতিনিধিদের জন্য অপমানকর। সরকার যেখানে সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে পারে না সেখানে কিভাবে জনগণের নিরাপত্তা দেবে। ’

নিজান আরো বলেন, ‘গতকাল আমরা স্পিকারকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি দুঃখপ্রকাশ করলেও আমরা বুঝি তিনি অসহায়। তার কিছু করার নেই। ’

নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘১/১১ এর সময়ও এমপি হোস্টেলের ভেতরে ঢুকে সংসদ সদস্যদের নির্যাতন করা হয়নি। এই সরকার নব্য ডিজিটাল বাকশালী কায়দায় ক্ষমতায় থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে। ’

হাসপাতালে জয়নুল আবদিন ফারুককে পুলিশি নজরদারিতে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

নির্যাতনের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার দাবি করে তিনি বলেন, ‘এদের প্রেপ্তার না করলে জনগণ বুঝবে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এই হামলা করা হয়েছে। সারা দেশে আগুন জ্বলবে। আর সে আগুনে সরকার ও শেখ হাসিনা পুড়বে। ’

আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে ও আতঙ্ক ছড়াতে জয়নুল আবদীন ফারুকের উপর হামলা করা হয়েছে।
 
অবস্থান কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন জেডআইএম মোস্তফা আলী মুকুল, হারুনুর রশিদ, আব্দুল মোমিন তালুকদার, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মোজাহার আলী প্রধান, নাজিমউদ্দিন আহমেদ, একেএম হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচির পর বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সংসদের টানেল ঘুরে মূল ফটকে শেষ হয়।

মিছিলে তারা সরকার ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।