ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে ঢিমেতাল

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১
হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে ঢিমেতাল

ঢাকা: বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে যান চলাচল প্রথম দিনের তুলনায় বেড়েছে। অধিকাংশ স্থানেই দোকানপাট খোলা দেখা গেছে।

কিছু কিছু স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটারদের তৎপরতা নজরে পড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।

বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মনোয়ারুল ইসলাম জানান, শাহবাগ, ধানম-ি, সায়েন্স ল্যাবোরেটরি, নিউমার্কেট এলাকায় হরতাল সমর্থকদের দেখা যায়নি। এসব এলাকায় প্রথম দিনের তুলনায় যান চলাচল যেমন বেড়েছে তেমনি খোলা দেখা গেছে অধিকাংশ বিপনী বিতান।

এসব এলাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা সূত্র।

এদিকে বিভিন্ন অনুষদের পরীক্ষা থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসেও হরতালের কোন প্রভাব দেখা যায়নি।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মহিবুব জামান জানান, ফার্মগেট, আসাদ গেট ও আগারগাঁও এলাকায় ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে। এসব এলাকায় পিকেটার দেখা যায়নি।

তবে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) করেসপন্ডেন্ট মোরশেদ সরকার জানান, জনসন রোড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বংশাল, নয়াবাজার মোড়, ধোলাইখাল, নবাবপুর রোড, টিপু সুলতান রোডসহ পুরনো ঢাকার কোথাও পিকেটিং বা মিছিলের খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এসব এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে যান চলাচল করছে। তবে তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। জনসাধারনের উপস্থিতিও ছিল কম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা যায়নি।



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাজেদুল নয়ন জানান, হরতালের দ্বিতীয় দিনে পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও তোপখানা মোড়ে যানবাহনের চলাচল প্রথম দিনের তুলনায় বেশী। এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আধা ঘণ্টা পরপর টহল দিচ্ছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে পুরানা পল্টন মোড়ে কোন বাস বা অন্যান্য যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে দিন বাড়ার সাথে সাথে মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, ফকিরেরপুল, জিরো পয়েন্ট, বায়তুল মোকাররম উত্তর ও দক্ষিণ গেট এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় পথচারী সংখ্যা বাড়তে থাকে।

তবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুরোপুরি ফাঁকা দেখা যায়। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত সেখানে নেতা-কর্মীকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকালের (বুধবার) মত আজও (বৃহস্পতিবার) স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশী। ট্রেন চলাচলও ছিল গতকালের মতই স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার সকালে স্টেশনে চারটি আন্ত:নগর ট্রেন প্রবেশ করেছে এবং চারটি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট করিমুল বাশার জানান, তেজগাঁও হয়ে সাতরাস্তা মোড়, মগবাজার মোড়ে দিন বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন বাড়তে থাকে। সেইসাথে বাড়তে থাকে যাত্রীসংখ্যা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থানের পাশাপাশি এসব এলাকায় র‌্যাব টহলও চোখে পড়েছে।

একই চিত্র দেখা গেছে মৌচাক মোড়, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও ও রাজারবাগ এলাকায়।

অন্যদিকে মগবাজার ওয়ারলেস গেট ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ এলাকায় যে কোন সময় জামায়াতের ঝটিকা মিছিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সকাল ন’টার পর শাহজাহানপুরে হরতাল সমর্থকরা একটি মিছিল বের করেছিলে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।