ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

‘বিক্ষোভ মিছিল ডেকে বিএনপি আদালত অবমাননা করেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৬
‘বিক্ষোভ মিছিল ডেকে বিএনপি আদালত অবমাননা করেছে’

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ডেকে বিএনপি  আদালতকে অবমাননা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

 

তিনি বলেছেন, আদালতের বিরুদ্ধে যদি মন্তব্য করা আদালত অবমাননা হতে পারে তাহলে, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেওয়া (বিক্ষোভ মিছিল) আরো গুরুতর আদালত অবমাননা।

আমি আদালতকে অনুরোধ জানিয়ে বলতে চাই, আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে যারা সোমবার (০৪ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছে অবিলম্বে যেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সমন জারি করা হয়।

সোমবার সকালে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী সবসময়ই আদালত অবমাননা করে আসছেন। আদালতে হাজিরার দিন হয় তিনি অসুস্থ থাকেন, না হয় হাজিরার দিন বিএনপির পক্ষ থেকে হরতাল ডাকা হয়।

আপনার (খালেদা জিয়া) প্রতি অনুরোধ, দয়া করে মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) আদালতে যাওয়ার সময় আপনার সন্ত্রাসী, জঙ্গি বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন না।

বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ার করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার হাজিরা দিতে গিয়ে আপনার সন্ত্রাসীবাহিনী যদি ঢাকা শহরে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে তাহলে, সরকার যেমন কঠোর হাতে দমন করবে, তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও বসে থাকবে না।

রোববার (০৩ এপ্রিল) রাতের বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক প্রসঙ্গে সাবেক এ পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শুনলাম বিএনপি ইউপি নির্বাচনের বাকি ধাপগুলোতে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমি শুধু বলবো, বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জন করে পরবর্তীতে তাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। কারণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না এসে তারা যে ভুল করেছে সে ভুলের মাশুল এখনো দিয়ে যাচ্ছে।

যে দল জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, যে দল জনগণ আশ্রিত সে দল কখনোই নির্বাচন বর্জন করে না। সুতরাং আমি মনে করি বিএনপি অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আমরা বিএনপিকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবেই দেখতে চাই।

আওয়ামী লীগের এ প্রচার সম্পাদক আরো বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে যুদ্ধাপরাধীদের দল ছাড়া যেকোনো দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিশ্বাসী। বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে। তবে তার আগে অবশ্যই বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার জন্য, রাজনীতির নামে অতীতের সব অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শিরীন নাহিন পুনম, হারুন চৌধুরী, আব্দুল হাই কানু, এম এ করিম, আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।