ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিল, কাকরাইল, কাজীপাড়া, মানিকনগর, রামপুরা, খিলগাঁও রেলগেট ও চানখাঁরপুলে ৬টি বাস এবং একটি পণ্যবাহী গাড়ি আগুনে পোড়ানো হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বাস পোড়ানোর ঘটনায় রাজধানীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তায় যান চলাচল কমে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তারা ঘরে ফেরার বাস পাচ্ছেন না। অনেকেই পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে মতিঝিল কাঁচাবাজারের সামনে থাকা একটি স্টাফ বাসে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের দুটো ইউনিট ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুন সম্পর্কে আমরা এখনও বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে।
মতিঝিল থানা পুলিশ থেকে জানানো হয়, হরতাল সমথর্নকারীরা বসে আগুন দিয়ে থাকতে পারে।
কাকরাইল মোড়ে একটি কোম্পানির পণ্যবাহী গাড়ি পোড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে গাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিভিয়ে ফেলে।
পুলিশের ধারণা হরতাল সমর্থকরা গাড়িটি পুড়িয়েছে।
কাফরুল থানাধীন কাজীপাড়া বাসস্ট্যান্ডে সুপার লিংক পরিবহনের একটি মিনিবাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে।
কাফরুল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জেল বাংলানিউজকে জানান, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর দমকল বাহিনী ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। ’
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও জানান এসআই তোফাজ্জেল।
বিকেলের দিকে মানিকনগর এলাকায় ফাহিম পরিবহনের একটি বাস আগুনে পোড়ানো হয়।
এছাড়া রামপুরা, খিলগাঁও রেলগেট ও চানখাঁরপুলে ৩টি যাত্রীবাহী বাস আগুনে পোড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
এদিকে রাত সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনের তিন নং গেটে বলাকা সার্ভিসের একটি বাস এবং রাত এগারটার দিকে ফার্মগেট খামার বাড়ি এলাকায় গুলিস্থান থেকে মিরপুরগামী(ঢাকা মেট্রো-ব-১৪২০০২) একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১১