ঢাকা: বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও তিন সংবাদ কর্মীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও লাটিপেটা করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, তারেক রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিকেল পৌনে ছ’টার দিকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্ত্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে একটি মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে যেতে থাকে।
মিছিলটি বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছলে সামনে ও পেছন থেকে ‘ধর ধর’ বলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নিক্ষেপ করে টিয়ারশেল। এতে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুরো এলাকা টিয়ারসেলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এতে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তেজগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান কবির, দৈনিক আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার মামুন স্টালিন ও দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমানসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এ সময় রিপোর্টার হাবিবুর ও বাংলানিউজের ফটো জার্নালিস্ট দেলোয়ার হোসেন বাদলের মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহত জয়নুল আবদিন ফারুক এক টিভি চ্যানেলের গাড়িতে চড়ে চলে যান।
এদিকে ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখানে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি ছিলো। মিছিলের অনুমতি ছিলো না। তাই বাধ্য হয়েই মিছিল ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। ’
এ ব্যাপারে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের জন্য পল্টন থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ওই কর্মকর্তা।
পল্টন থানার ওসি শহীদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মিছিলের অনুমতি ছিলো না। তাই আমরা তাদের মিছিল না করার অনুরোধ জানাই। কিন্তু তারা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে আমরা লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছুঁড়ি। কারণ, জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। ’
তবে ‘কাউকে আহত হতে দেখিনি’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১১