ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন: সরকারকে বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১
ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন: সরকারকে বিএনপি

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে দ-িত করার বিধান ও সরকারের মেয়াদের মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রেখে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) বিল-২০১১ সংসদে উত্থাপন করার বিষয়টিকে ভয়াবহ খেলা হিসেবে আখ্যা দিয়ে এ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলটির নেতারা এ আহবান জানান।



তারা বলেন, ‘সংসদে এ বিল পাস হলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রকারান্তরে দেশে বাকশাল কায়েম হবে । তাই সরকারকে বলব, এই ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন। ’

অর্থপাচারের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে দ-িত করার প্রতিবাদে কেন্দ্রী ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এ সমাবেশ আয়োজন করে।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধান সংশোধনের কোনো ওয়াদা ছিলো না। কেবল একটি মাত্র কারণে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। আর সে কারণটি হলো- তাদের জনপ্রিয়তা নেই। জনগণের রায়কে তারা ভয় পাচ্ছে। ’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা  ও সাজানো রায় দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘সীমাহীন ব্যর্থতা, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যাতে শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারেন সেজন্য তার মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। আর এ অসৎ উদ্দেশেই তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজা দেওয়া হচ্ছে। ’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ও আঁকড়ে রাখতেই বর্তমান সরকার সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিতে চায়। কিন্তু এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি, এখনো সময়  আছে ভয়াবহ খেলা থেকে সরে আসুন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সব সময় বলে কোর্টের রায়ের আলোকেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি তুলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এ রায়ের প্রথম অংশ বলা হয়েছে ভবিষ্যতের জন্য এ পদ্ধতি বাতিল করা হলো। দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে- আরও দু’টি নির্বাচন এ পদ্ধতিতে করা যাবে। তৃতীয় অংশ বলা হয়েছে- কে হবেন প্রধান উপদেষ্টা সে বিষয়টি ঠিক করবে সংসদ। ’

‘রায়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশ বাদ দিয়ে এবং পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে দিয়ে সরকার নিজেই চরমভাবে আদালত অবমাননা করেছে’ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টা রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়রম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, শামসুজ্জামান দুদু, য্গ্মু-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।