ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল: আজহারুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১
প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল: আজহারুল

ঢাকা: প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল দিয়ে হলেও বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ রুখে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ ৯৬ ঘণ্টা হরতাল দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি আদায় করেছে।

প্রয়োজনে সে পথেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি আদায় করা হবে।

রোববার দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম  এ কথা বলেন।

তিনি  আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জামায়াতকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। এ কারণে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার দমন-নির্যাতন চালাচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনিম আলম, ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মহানগর সেক্রেটারি জেনারেল হমিদুর রহমান এমপি, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, ছাত্র শিবির সভাপতি ড. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ।

        
        
তিনি আরো বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ এবং সমাজতন্ত্র সম্পূর্ণ কোরআন সুন্নাহ বিরোধী মতবাদ। সে কারণে সংবিধানের প্রস্তাবনায় এ দুই বিষয়কে মূলনীতি হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করার কোন যৌক্তিকতা নেই।

সংবিধানের প্রস্তাবিত অনুচ্ছেদ ৭ (খ) অসাংবিধানিক উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে প্রথম ভাগ দ্বিতীয়ভাগ এবং ৯ম (ক) ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদ সমুহ সংশোধনে সংসদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।

অথচ বিধান গুলোকে আদালত মৌলিক কাঠামো বলে ঘোষণা করেনি। মৌলিক কাঠামো ছাড়া অন্যান্য অনুচ্ছেদ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পরিবর্তন যোগ্য। অতএব এই অসাংবিধানিক প্রস্তাবনা প্রত্যাহার করতে হবে।

‘সংবিধানে প্রস্তবনার ১২ দফা ১ ও ৩ নং দফাদ্বয়ের সাথে সাংঘর্ষিক। ১ দফায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং ৩ নং দফায় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে ঘোষণা করা হয়েছে।

অথচ ১২ নং দফায় বলা হয়েছে রাষ্ট্রকর্র্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা না দেওয়ার জন্য। এই সাংঘর্ষিক ধারার বিলুপ্তি চায় জামায়াত।

সংবিধান পরিবর্তনের জন্য জনগনের ম্যান্ডেট প্রয়োজন উল্লেখ করে আজহারুল ইসলাম বলেন, সরকার চাইলেই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে না।   জনগণ তাদের সে অধিকার দেয়নি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধান সংশোধনের কোন প্রতিশ্রুতি জাতির কাছে পেশ করেনি।
সে কারণে সংবিধান সংশোধন করতে হলে,কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি (সংবিধান সংশোধনে পৃথক সংসদ) গঠন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধান সংশোধনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা একদিকে সংবিধানের অন্যান্য ধারার সাথে সাংঘষিক অপরদিকে তা জনগণের চেতনা ও বিশ্বাসেরও পরিপন্থী।

তিনি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য বহু আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরপর তিনটি নির্বাচন দেশে-বিদেশে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তত্বাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা সংক্রান্ত আদালতের রায়কে সুপ্রিম কোর্টের ভুল রায় বলে দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই রায়কে অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

‘সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল দল, বুদ্ধিজীবী, ওলামা মাশায়েখদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন অথবা গণভোটের মাধ্যমে করার দাবি জানান।

এর অন্যথা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়:২১৪২ ঘণ্টা, জুন ২৬,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।