ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তারেকের অর্থপাচার মামলা: পুনর্বিবেচনার রায় ২ জুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১১
তারেকের অর্থপাচার মামলা: পুনর্বিবেচনার রায় ২ জুন

ঢাকা: খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার সংক্রান্ত আপিলের বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২ জুন  এ বিষয়ে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।



সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ তারিখ ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের আপিল বিভাগ।

শুনানিতে তারেক রহমানের পক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। এছাড়া সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আনিসুল হক। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, ‘ ২০০৭ সালের অর্ডিন্যান্স ৪, ৮ এবং ১৭ সংসদে পাশ হয়নি। কিন্তু তারেক রহমানের মামলায় এসব অর্ডিন্যান্স বিবেচনায় নিয়ে রায় দেওয়ায়ঢ রায় ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। তাই এর সংশোধন চাওয়া হয়েছে। ’

অন্যদিকে, আনিসুল হক বলেন, ‘পিটিশনেই (আবেদন) অপরাধ স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তাই অপরাধ নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। কোন আইনে মামলা পরিচালিত হবে, তা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। ’

এর আগে গতকাল রোববার ওই মামলার শুনানির জন্য আপিল বিভাগের ৭ নম্বর কার্যতালিকায় ছিল। দুই পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা আজকে (সোমবার) পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।

গত ২ মে অর্থপাচার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তারেক রহমান।

এরপর গত ২২ মে প্রথম শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়। ওইদিন এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৯ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম বাদি হয়ে তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

ওই বছরের ৬ জুলাই এ মামলায় তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক ও মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন।

টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০/বি, বনানীর নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এ অর্থ নেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।