ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

দেশে ফিরলেন খালেদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১
দেশে ফিরলেন খালেদা

ঢাকা: যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ দিনের সফর শেষে রোববার বিকেল ৫টায় দেশে ফিরেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।



আমিরাত এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে খালেদা জিয়া ঢাকা পৌঁছেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এজন্য দলের সিনিয়র নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন-- আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের জবাবে বিমানবন্দরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আয়নায় আগে নিজেদের চেহারা দেখুন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিরোধী দলে থাকার সময় কোন কোন দেশে ধর্না দিয়েছেন, সরকার এবং দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারপর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলুন। ’

হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কর্মসূচি বা সাক্ষাৎ সিডিউল বিএনপির পক্ষ থেকে ছিল না। সুতরাং আপনারা যা শুনেছেন তা আমরাও শুনেছি। বিষয়টি মোটেও আমলে নেওয়ার মতো নয়। ’

আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচিগুলো শেষ হলেই আন্দোলন কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

মওদুদ আহমদ বলেন, ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকতে না দিয়ে সরকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করেছেন। তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থেকে সফর শেষ করে এসেছেন। দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে আমরা তাকে সংবর্ধনা জানাতে এসেছি। কিন্তু আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা কোনো অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তার যে সম্মানটুকু প্রাপ্য, সরকার তা থেকে বঞ্চিত করেছে। ’

আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচির জন্য দলের ওপর জনগণের চাপ আছে। কিন্তু জানমালের ক্ষতি হয়, এমন কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। ’

খালেদা জিয়া সংসদ থেকে পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই। নেত্রী দেশে ফিরলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। ’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, আহমেদ আজম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।

খালেদা জিয়া গত ১৪ মে ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্য রওনা হন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সময় কাটানো ছাড়াও বৃটেনের সরকারি ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া প্রবাসী বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা হয়নি।

বিরোধী দলীয় নেতা ২১ মে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে ৭ দিন অবস্থানকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেইকের সাথে দেখা করেন খালেদা  জিয়া। তবে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যর্থ হন।

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আব্দুল আউয়াল পিন্টু, রিয়াজ রহমান, প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময় : ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।